তানোরে মাদারীপুর বাজারস্থ্য পাগলা শাহ’র মাজারের সামনে পাঁকা ঘর নির্মানের সামগ্রীসহ ঘরের সার্টারগেট খুলে আনা হয়েছে।
আজ (২৭শে আগষ্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো ওই পাকা ঘরের সার্টারগেটসহ নির্মানসামগ্রী ও শ্রমিকদের কাজের যন্ত্রপাতিও জব্দ করে আনেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা মাদারীপুর বাজারে পাগলা শাহ’র মাজারের (দর্গা) ওয়ারিশ সুত্রে জিম্মাদার দাবি করে মাজার সংলগ্ন দীর্ঘদিন আগের তৈরি মাটির ঘরটি ভেঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে ধানুরা গ্রামের মৃত বদের আলী দেওয়ানের ছেলে রোকাব আলী দেওয়ান পাঁকা ঘর নির্মান করছিলেন।
ঘরটির নির্মান শেষে সার্টারগেট লাগিয়ে প্লাস্টার করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো সেখানে যাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে পালিয়ে যায় শ্রমিকরা। তবে, জায়গার দাবি নিয়ে নির্মান করা ঘরের মালিক রোকাব আলী দেওয়ান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রোকার আলী দেওয়ান বলেন, ১৯২ নং মাদারিপুর, আরএস খতিয়ান নং ১৬১, আরএস দাগ নং ১৭৭, রকম পীরস্থান, পরিমাণ ১ শতক। জায়গাটি পাগলা শাহ’র (মুগড়ী দর্গা) যাহার ওয়ারিশ সুত্র আমি জিম্মাদার।
তিনি বলেন, মাজার পাহারা ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মাজার সংলগ্ন জায়গায় দীর্ঘদিন আগের তৈরি একটি মাটির ঘরছিলো, ওই মাটির ঘরটি নষ্ট হয়ে পড়ায় মাটির ওই ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে পাঁকা ঘর নির্মান করছিলাম। ঘরটি নির্মানের শেষ পর্যায়ে কোন নোটিশ না দিয়েই ইউএনও মহাদয় ঘরে লাগানো সার্টারগেট নির্মান সামগ্রীসহ শ্রমিকদের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছেন।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, মাজারের সামনের সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পাঁকা ঘর নির্মান করা হচ্ছিলো। সেখানে অভিযান চালিয়ে কাউকে না পাওয়ায় নির্মান সামগ্রী জব্দ করা আনা হয়েছে। (ঘরটি) অবৈধ স্থাপনাটি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।