ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের জীবন রক্ষাকারী এক্সিফিন এক গ্রাম আইভি ইঞ্জেকশনের প্যাকেটের ভিতরে থাকা ডিসপোজেবল সিরিঞ্জে ময়লা।আর এ ময়লা যুক্ত সিরিঞ্জ দিয়ে মাজেদা খাতুন(৮০)নামে জনৈক রোগীকে ইঞ্জেকশন পুশ করার ফলে হাত ও শরীর সংক্রমিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুক্রবার গফরগাঁও প্রেসক্লাবে ময়লাযুক্ত সিরিঞ্জ নিয়ে অখিযোগ করেন €এসে
জানায়ায়,উপজেলার দুগাছিয়া গ্রামের মৃত আবদুস ছালাম মিয়ায় স্ত্রী মাজেদা খাতুন গত ২০ আগস্ট জ্বরে আক্রান্ত হয়।জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন বৃদ্ধা মাজেদা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য দুগাছিয়া বাজারের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডাঃ মাহাবুবুল আলম মোহনকের কাছে যায়।ডাঃ মাহাবুবুল আলম মোহন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মাজেদা খাতুনের ট্রায়ফয়েট হয়েছে এ মর্মে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের এক্সিফিন এক গ্রাম আইভি ইঞ্জেকশন পুশ করার পরামর্শ প্রদান করেন।চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে রোগীর স্বজনরা গত ২২ আগস্ট গফরগাঁও পৌর শহরের একটি ঔষধের দোকান থেকে এক্সিফিন এক গ্রাম আইভি ইঞ্জেকশন ক্রয় করে ডাঃ মাহাবুবুল আলম মোহনের কাছে নিয়ে যান।প্যাকেটের ভিতরে থাকা ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ দিয়ে রোগীর ইঞ্জেকশন পুশ করা ফলে রোগীর হাত ফুলে কালো দাগ হয়ে যায়।
ডাঃ মাহাবুবুল আলম মোহন জানান,ইঞ্জেকশন পুশ করা পর যখন দেখি বৃদ্ধার হাত ফুলে কালো দাগ হয়ে গেছে তখনেই আমার সন্দেহ হয়।পরবর্তীতে এক্সিফিন এক গ্রাম আইভি ইঞ্জেকশনের অন্য একটি প্যাকেট খোলে দেখি ভিতরে থাকা ডিসপোজেবল সিরিঞ্জে ময়লা।এর পর বিষয়টি আমি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে অবহিত করি।
এ ব্যাপারে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান,আমাদের ওষুধ কোম্পানির কোন সিরিঞ্জ তৈরী করেনা।ঔষধ কোম্পানি বাহির থেকে সিরিঞ্জ ক্রয় করে এক্সিফিন এক গ্রাম আইভি ইঞ্জেকশনের প্যাকেটে সরবরাহ করে থাকেন।