নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত নজরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক শিক্ষকের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেয়া ডেথ সার্টিফিকেটে চিকিৎসক তার মৃত্যুর কারণ কোভিট-১৯ উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় আসামি বৃদ্ধি করে পুনরায় হত্যা মামলা দায়ের করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর খামাতপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলীর ছেলে ও খুটামারা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলামের সঙ্গে উঠানের জমি নিয়ে প্রতিবেশী আছিমুদ্দিনের ছেলে আজিজুলের বিরোধ চলছিল। ওই উঠানের সীমানা খুঁটি উপড়ায়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ জুলাই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষক নজরুলসহ উভয় পক্ষের ৭জন আহত হলে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আজিজুল আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে ও নজরুলের পক্ষে তার ভাতিজি মিনা বেগম ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এদিকে আহত ওই শিক্ষককে ২৮ জুলাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন। বাড়িতে এসে তিনি অসুস্থ হলে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ আগস্ট পুনরায় তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হেমোরাইজিক স্টোক কোভিট-১৯ মন্তব্য লিখে তার ডেথ সাটিফিকেট দেন। এ ঘটনায় মৃত নজরুলের ছেলে সুমন বাদি হয়ে পুনরায় আজিুলসহ ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের ভয়ে আগের মামলায় জামিনে থাকা আসামিসহ অন্যান্য অসামিগণ স্বপরিবারে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। মৃত ওই শিক্ষকের ছেলে সুমন জানান, ওই দিন আমার বাবা, মা ও আমি আহত হয়েছিলাম। প্রতিপক্ষের মারধরের কারণে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আসামি ও তাদের পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হক জানান, থানার মামলার সঙ্গে কোর্টের মামলা সংযুক্ত করেই তদন্ত চলছে। পোষ্ট মর্টেম রিপোট আসলেই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।