সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবু’র বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও ধর্ষন চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি মানিকনগর গ্রামের এক নারী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকনগর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবু একজন ভালো মানুষ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যারা ধর্ষন চেষ্টার মামলা করেছেন তারা কেমন চরিত্রের মানুষ খোঁজ নিলে সব জানা যাবে। ইউপি চেয়ারম্যান কোন অনুষ্ঠান বা সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এলাকায় আসলে তার সাথে দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্যান্য লোকজন থাকে। একটি মহল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবু জানান, এ বিষয়ে বাদী প্রথমে কলারোয়া থানায় যে অভিযোগ করেন, সেখানে আমার নাম ছিল না। এর একমাস পরে আদালতে আমাকেসহ কয়েকজনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পেরেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সামাজিকভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আযহার দু’দিন আগে গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী প্রথমে আমার মায়ের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং মায়ের গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন (যার ওজন ১.৫ ভরি), দুটি মোবাইল, একটি ট্যাবসহ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে তারা আমার ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এদিকে মিথ্যা মামলা প্রত্যহারের দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এলাকাবাসী আরো জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৃত দোষীদের শাস্তি এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।