রাজশাহীর বাঘায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলার হরিরামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনের জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) মাগরিব নামাজের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় এডহক কমিটির প্রথম মিটিং হয়। মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় সাবেক সভাপতি নওশাদ আলীসহ তার লোকজন বর্তমান সভাপতি মুনসুর রহমানের পথরোধ করেন। এ সময় কৌশলে সে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় সন্ধ্যার পর নওশাদ আলী ও স্থানীয় মান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মনসুর রহমানের উপর হামলা চালায়। এ সময় মুনসুর রহমানের পক্ষের জুলফিকার আলী, সাইদুর রহমান, বাদল হোসেন, দুর্জয় হোসেন, মেঘলাল হোসেন এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা হামলা করা হয়। এ হামলায় আহতরা হয়েছেন সাজের আলী, জুলফিকার আলী, সাইদুর রহমান, দুর্জয় হোসেন, মেঘলাল হোসেন, বাদল হোসেন। এরমধ্যে এতে জুলফিকার আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে।
হরিরামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, এডহক কমিটির মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে হরিরামপুর গ্রামের সোলাইমানের বাড়ি সংলগ্ন এলকায় সাবেক সভাপতি নওশাদ আলীর পক্ষে রোকন আলী, মিজানুর রহমান, সোহেল রানা, আলাল হোসেন (১), আলাল হোসেন (২), আলমগীর হোসেন, চমৎকার হোসেন সহ ১০/১৫ জনের একটি দল পথরোধ করে। কৌমলে সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যার পর হামালা পূনরায় হামলা করে।
মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, শুনেছি নওশাদ আলীর লোকজন চাইনিচ কুড়াল, লোহার রড নিয়ে হামলায় জুলফিকার আলী ভুট্টুর পায়ের হাঁড় ভেঙ্গে দিয়েছে।
সাবেক সভাপতি নওশাদ আলী জানান, তাদের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে অপ্রীতিকর একটির ঘটনা ঘটেছে।
বাঘা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি জুলফিকার আলী স্ত্রী নাসিমা বাদি হয়ে নওশাদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ মামলায় আলমগীর হোসেন, চমৎকার হোসেনসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে।