করোনা কালীন অনলাইনে নানা ইস্যুতে চলছে আলোচনা। জাতীয় নানা বিষয়ে বিস্তর আলোচনায় বেড়িয়ে আসছে সমাধানের পথ। এতে অবশ্য করোনায় স্বাস্থ্য সচেতনতা ছাড়াও এ-সংক্রান্ত নানা বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। বড় পরিমন্ডলের পাশাপাশি গাইবান্ধার সাঘাটাতেও অনলাইনে আলোচনা বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এরই মাঝে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি অনলাইন ফেইজ বুক আলোচনা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। করোনায় সাঘাটা বাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গতকাল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এ- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় সাঘাটার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রোগ্রামে অনলাইনে অশংশ নেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^ বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান বিপুল, বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোতাহার হোসেন সোহাগ ও সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা কেএম শাহাদত আলী।
এর কয়েকদিন আগে প্রোগ্রামের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্টে বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব হাসান মোঃ হাফিজুর রহমান ট্টুুল, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ নাছিরুল আলম স্বপন এবং সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা জনাব ডাঃ মোঃ রাজিব হোসেন। প্রোগ্রামের দুটি পর্বই এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ফেইসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ রাকিবুল হাসানের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন এই উদ্যোগ সচেতনতার পথ দেখাবে। সমাজের দায়িত্বশীলদের কার্যকর ভূমিকা উপস্থাপনের জন্য এমন স্পেস তৈরী হওয়া আবশ্যক বলে অনেকেই মনে করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঞ্চালক রাকিবুল হাসানের বাসা সাঘাটার বোনারপাড়ায়। করোনা পরিস্থিতিতে সাঘাটা বাসীর মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং সৃষ্ট সমস্য একটু হলেও যেন সমাধান হয় এমন ভাবনা থেকেই তিনি সমাজের দায়িত্বশীলদের নিয়ে প্রোগ্রাম শুরু করেন বলে জানা গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে রাকিবুল হাসান বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথেও যুক্ত। তার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র জুনিয়রদের সমন্বয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বিভিন্ন স্কুল কলেজে প্রায় ২ হাজার গাছ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গাইবান্ধার বন্যার্ত পরিবারকেও সহযোগিতা করেন।