নির্দিষ্ট দাগ খতিয়ান জমির পরিমান চৌহদ্দী উল্লেখপূর্বক বিক্রিত জমি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে গিয়ে অন্য দাগে(সরকারী/খাস)জমি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় দাতা-গ্রহীতার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক বাক-বিতন্ডার জেরধরে ক্রেতা পক্ষের নামে চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে এক মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে।
২৯ আগস্ট শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আঃ গনি তালুকদারের পুত্র মোঃ নুরুল আমিন তালুকদার নুরু একই মহল্লার আবুল কালাম এর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের নিকট ৫৮৯৫ দাগে ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করে। ক্রেতা যথারিতি তার ক্রয়কৃত জমির পজেশান বুঝে নিতে চাইলে বিক্রেতা নূরু তালুকাদার বিক্রিত ৪ শতাংশ জমি ঐ দাগে বা চৌহদ্দীমতে না দিয়ে ৫৮৯৩ দাগে(সরকারী/খাস)জমি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটা কাটি হয়। উল্লেখ্য যে ক্রেতা আঞ্জুয়ারা বেগমের ক্রয়কৃত জমিতে বিক্রেতা নিজেরাই ফাউন্ডেশন দিয়ে বশতঘর উত্তোলনের প্রকৃয়া শুরু করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নূরু তালুকাদারের ভাই রুহুল আমিন তালুকদার বাচ্ছু বাদী হয়ে দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতে আবুল কালাম ও তার দুই পুত্রের নামে একটি চাঁদাদাবীর মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে দুর্গাপুর থানা কর্তৃক মামলাটির তদন্ত রিপোর্টও দাখিল করা হয়েছে। শনিবার সরেজমিনে গেলে এলাকার আঃ হেকিম মাস্টার,মানিক মিয়া,মনোরঞ্জন বাদুরী,রুপন মিয়া,ফজলু,মান্নান মিয়া,সোলেমান, জালাল,আঃ জলিল,আব্দুর রাশিদ,গিয়াস উদ্দিন,লাল মিয়া,নজরুল ইসলাম,শহিদ মিয়া,রাজন,হান্নান,বিকাশ,কালাম,রাজাসহ অসংখ্য ব্যক্তিরা বলেন আবুল কালাম ও তার পরিবার খুবই সহজ সরল ও নিরহ ব্যক্তি তাদের দ্বারা চাঁদাদাবীর কোন ঘটনা কোনদিনই ঘঠতে পারেনা। আমাদের ধারনা কালাম গংদের নামে যারা চাঁদা দাবীর মামলাটি করেছেন সেটি সত্রুতামূলক, তাদেরকে সামাজিক বা আইনিভাবে হেস্তন্যস্ত করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। তাছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের জানামতে এলাকায় না এসেই অফিসে বসেই তার ইচ্ছামতো রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছেন যা আমরা এলাকাবাসী কোন ভাবেই প্রত্যাশা করিনা,আমাদের জানামতে চাঁদাদাবীর বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক। অপরদিকে বিষয়টি সঠিক সুরাহার উদ্দেশ্যে আবুল কালাম গংরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়র বরাবরে আলাদা ভাবে আবেদন জানালেও এ পর্যন্ত এর কোন সুরাহা মিলেনি।