প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহীর অধিনস্থ সহকর্মীগণ। প্রতিষ্ঠানটি বিভাগীয় অফিসের বিশেষ প্রতিবেদক এস.এইচ.এম. তরিকুলকে মুঠোফোনের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিগণ গুণী এ সম্পাদকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। এসময় প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের পাশাপাশি রাজশাহী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগণও রাহাত খানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।
আর পৃথকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, দেশের অন্যতম সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখাসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নের্তৃবৃন্দগণ শোকবার্তা প্রেরণ করেছেন।
প্রেরিত বিবৃতিগুলোতে জানানো হয়, সাংবাদিক রাহাত খান ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও স্পষ্টভাষী মানুষ। সাংবাদিকতা ও সাহিত্য উভয় অঙ্গনে সমান দীপ্তি ছড়িয়েছেন। এমন গুণী এক অভিভাবককে হারিয়ে সকলেই গভীরভাবে শোকাহত। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন রাহাত খান। এরপন শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার প্রথম জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক নেতা ও সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে দুপুর ১২টায় দেশবরেণ্য এ কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের শেষ কর্মস্থল প্রতিদিনের সংবাদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে সহকর্মীরা শেষশ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ আদায় করেন। এরপর শনিবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জোহরের নামাজের পর তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। গুণী এ সাংবাদিক রাহাত খান ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। তাঁর বর্ণাঢ্য সাংবাদিক জীবনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারি সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে। এছাড়াও সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।