জামালপুর সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছোঁড়া এসিডে মারাত্মক ভাবে ঝলসে গেছে কৃষক মামুনুর রশীদ বাবলু ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমের শরীর।। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের গোপীনাথপুর হাটুভাঙ্গা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হযেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের গোপীনাথপুর হাটুভাঙ্গা গ্রামের কৃষক মামুনুর রশীদ বাবলুর (৫৫) এবং তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫) একটি গরুর খামারের গরু পাহারা দিতেন। প্রতি দিনের ন্যায় খামারে চৌকিতে বিছানা পেতে তারা স্বামী-স্ত্রী মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। গত শনিবার(২৯আগষ্ট) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসিডের তীব্রতায় বাবলুর ডান চোখ-মুখমন্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং তার স্ত্রী আমেনা বেগমের ডানের হাত থেকে পা পর্যন্ত মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়।
এসময় তাদের চিকিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থা চরম অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে গত ৩০আগষ্ট রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে এসিডদগ্ধ বাবলুর ভাতিজা মো. মেরাজুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা বাবলুর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মীমের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বিপুলের সৎভাইদের সাথে চাচার জমিজমা নিয়ে বিরোধের চলছিল তারই জের ধরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে জামালপুর সদর থানার নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। স্বজনরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।