গত (২৯আগষ্ট) অনলাইন পত্রিকা প্রতিদিনের সংবাদ সহ যে সকল পতিকায় ”শোকবহ আগষ্টে মুজিবীয় চেতনার জলাঞ্জলি দিয়ে পরকিয়া বাণিজ্যে ব্যস্ত ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি আমর দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লিখিত শোকাবহ আগষ্টে মুজিবীয় চেতনার জলাঞ্জলি দিয়ে পরকিয়া বাণিজ্যে ব্যস্ত ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম” আমি শোকাবহ আগষ্টে ডিমলা উপজেলা ব্যাপি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বৃক্ষ রোপনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে শোকাবহ আগস্ট মাস পেরিয়ে দিয়েছি। যাহা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করেছি। যার প্রমান স্বরুপ দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিক ভাইয়েরা সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদে ওই ঘটনায় জড়িত শঠিবাড়ী বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ছামিদুল ইমলামের সাথে আমার যে সখ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা আদৌ সত্য নয়, আমি তাকে চিনিনা বা সে আমার পুর্বের পরিচিত কোন ব্যক্তি নয়। আমি আমার কোন অনুসারিদের নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াইনি বা সাবিনা বেগমকে তার বাড়িতে রাখতে যায়নি। আমার বিরুদ্ধে ওই সংবাদে স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতে ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে সাবিনা আক্তারের সাথে কসমেটিক ব্যবসায়ী ছামিদুল ইসলামের জোর পূর্বক বিয়ে দেয়ার বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। কোন স্থানীয় নেতা এর প্রমান দিতে পারবেনা। এবং আমি বা আমার অনুসারী কেহই উল্লিখিত টাকা ভাগ করে নেইনি। প্রকাশিত সংবাদে সাবিনা আক্তারের স্বামী সাইদুল ইসলাম ঢাকা থেকে এসে আমার বিরুদ্ধে তার অনুপস্থিতে তার স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে বিরাট অংকের টাকা নিয়ে সকল নেতারা মিলে ভাগ করে নেয়ার অভিযোগ করেছে। তা আদৌ সত্য নয়। এবং সংবাদে নাম গোপন রাখার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও স্থানীয়দের মতামতে আমি ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের দলীয় পদ ও ক্ষমতার লাগামহীন অপব্যবহার ও এলাকায় ভীতিকর পরিবেশে তৈরী করছি। এবং সেই সাথে বিলীন করছি ছাত্রলীগের গৌরবময় সুশৃঙ্খলতার ইতিহাস। যার কোন সঠিক প্রমান কোন স্থানীয় আওয়ামী নেতা বা স্থানীয়রা দিতে পারবেনা। আমি মুজিব আদর্শের একজন সৈনিক, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সফল সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মত কোন কাজের সাথে আমি বা আমার অনুসারীরা কখনো কোন ভাবেই জড়িত ছিলাম না এবং নেই। একটি স্বার্থনেশ্বি মহল ও আমার প্রতিপক্ষ আমাকে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িত সুনাম ধন্য ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের ভুল ও মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদটি ছাপিয়েছে মাত্র। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যে ভুল বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি ওই প্রকাশিত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এবং প্রকৃত ঘটনার বিবরন তুলে ধরছিঃ গত (২৩ আগষ্ট) ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অপিজুল ইসলামের ছেলে ও শুঠিবাড়ী বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ছামিদুল ইসলাম গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাইদুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে গভীর রাতে তার বাড়ীতে স্বামী না থাকার সুযোগে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে। এলাকাবাসী তাদের আটক করে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে গয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরন করেন। পরদিন গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি আপস মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ওই দুজনকে ডিমলা থানায় সোপর্দ করেন। ডিমলা থানা পুলিশ পরদিন নিয়মিত মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরন করেন। আদালতে দুজনের সম্মতিক্রমে এ্যফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্য করে ছামিদুলের মামাতো ভাইয়ের জিম্মায় তাদের মুক্তি প্রদান করেন। এবং মুক্তি পাবার পর স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে তাদের বিবাহ সুসম্পন্য হয়। বর্তমানে তারা ঘর সংসার করছেন মর্মে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি। ওই ঘটনার সাথে আমি বা আমার সংগঠনের কেহই সম্পৃক্ত নই।