পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার ভিন্ন নামে দুইটি এসএসসি’র সার্টিফিকেট রয়েছে। অভিযুক্ত ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার নাম রুমা দাস। তিনি উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের শাঁখারীকাঠী গ্রামের মৃত রনেন্দ্র নাথ ঢালীর মেয়ে। তার ‘গৌরী ঢালী’ নামে এসএসসির আরো একটি সনদ রয়েছে বলে একই গ্রামের শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে গত ১০ আগস্ট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্র ও স্থাণীয়দের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, তার পিতা মৃত রনেন্দ্র নাথ ঢালী স্থাণীয় শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একাধীকবার ইউপি সদস্য ছিলেন। ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ১৯৯১ সালে যশোর বোর্ডের অধীনে উপজেলার শাঁখারীকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে গৌরী ঢালী নামে বিজ্ঞান শাখা থেকে তৃতীয় বিভাগে এসএসসি পাশ করেছেন। পরে ১৯৯৪ সালে একই বোর্ডের অধীনে ঝালকাঠী জেলার সাওরাকাঠী নব আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছেন। আর এ একই ডিগ্রীর দুই সনদে ব্যবহার করা হয়েছে পৃথক জন্ম তারিখ। এ বিষয় উপজেলার শাঁখারীকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন মন্ডল জানান, ‘গৌরী ঢালী’র পিতা রনেন্দ্র নাথ ঢালী নিজে স্বাক্ষর দিয়ে মেয়ের সার্টিফিকেট নিয়েছেন। ‘রুমা দাস’ নাম দিয়ে এসএসসি পাশ করা ঝালকাঠী সদর উপজেলার সাওরাকাঠী নব আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ মুঠোফোনে জানান, আমি ওই বিদ্যালয়ে নতুন। স্কুলও বন্ধ তাই কাগজপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না। জানা গেছে, গৌরী ঢালীর পিতা রনেন্দ্র নাথ ঢালী একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং- ৭০৬২০। আর পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকুরি নিলেও তিনি তার সার্টিফিকেটে পিতার বংশ পরিবর্তন করেছেন। অভিযুক্ত রুমা দাস ২০০৮ সালে চাকুরী নিয়ে পিরোজপুরে যোগদান করেন। পরে কিছু দিন নাজিরপুরেও চাকুরী করেন এ সময় তার ভিন্ন ২ নামের সনদের বিষয় প্রকাশ পেলে তখন তিনি বদলি হয়ে ঢাকার মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুমা দাস মুঠো ফোনে জানান, তিনি ‘গৌরী ঢালী’ নন। তার পিতার জমি জোর করে দখল করতে স্থাণীয় অভিযোগকারী শ্যামল দাস তাকে অহেতুকভাবে হয়রানী করতে কৌশল হিসাবে এ অভিযোগ করছেন।