সবগুলো শর্তপূরণ করতে না পারায় ঋণ পাচ্ছেন না বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বলছে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা জমা না দিলে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব নয়।
এর ফলে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে ফেরা প্রবাসীদের জন্য গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এখনো অর্থ ছাড় করাতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। সাড়ে তিন হাজারের বেশি প্রবাসী যোগাযোগ করলেও কেউ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা জমা দেয়নি বলে দাবি করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে প্রস্তুতি থাকার পরেও টাকা দেওয়া যাচ্ছে না।
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের সহায়তা করার ইচ্ছা থাকলে কাগজপত্রের জটিলতা থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্প উপায় বের করতে হবে।
করোনা ভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসতে থাকেন প্রবাসীরা। এখন পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় এক লাখ প্রবাসী। ফিরে আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য দুইশ’ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আরও ৫০০ কোটি টাকা।
৪ শতাংশ সুদের এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবেন চলতি বছরের মার্চ মাসের পর দেশে ফিরে আসা প্রবাসীরা। এই ঋণ বিতরণ করবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। তবে এখনো এই তহবিল থেকে কেউ ঋণ পাননি।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে এপ্রিল মাসে ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন জিয়াউর রহমান। বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে তিনি আর ইতালিতে ফিরে যেতে পারেননি। ইতোমধ্যে তার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন চাইলেও যেতে পারবেন না। এখন দেশেই কিছু করার উদ্দেশ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান জিয়াউর। কিন্তু ব্যাংকের সবগুলো শর্তপূরণ করে তার পক্ষে ঋণ নেওয়া সম্ভব না।
কাতার থেকে আসা প্রবাসী আশিকুর রহমান বলেন, সরকার যতটা সহজে ঋণ দেওয়ার কথা বলেছে। এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি বিষয়টা ততটাই কঠিন। আগামী দুই বছরের মধ্যেও ঋণ পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।