আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার স্বাক্ষী হারুন শিকারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালিয়ে দু’পা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাজাপুর বৌবাজার সানা এন্টারপ্রাইজে এলোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আনুলিয়া ্ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন সানা বিগত ১০ বছরে আনুলিয়া ইউনিয়নের আলমগীর আলম লিটনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দূনীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে গত ৬ আগস্ট সাতক্ষীরা স্পেশাল জজ আদালতে (৭ নং) মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত দুদক চেয়ারম্যানের উপর তদন্তভার অর্পন করেন। মামলা হওয়ার পর দূনীতি বাজ চেয়ারম্যান ও তার একান্ত সহযোগী ইউপি সদস্য আলম, শতকাত হোসেন, জিয়ারুল ও সুজনসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী স্টাইলে হারুনের উপর অর্তকিতে হামলা চালায়। এ ছাড়া মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের দফায় দফায় জীবন নাশের হুমকী দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে চেয়ারম্যান লিটনসহ তার সহযোগিদের নামে থানায় জিডি করা হয়েছে (যার জিডি নং-৫৬০)। মধ্যম একসরার মৃত জেহের আলী শিকারীর ছেলে হারুন শিকারী স্বাক্ষী হওয়ায় তার উপর দীর্ঘদিন চাপ সৃষ্টি করায় রাজি না হওয়ায় এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আনুলিয়া ইউনিয়নের আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেনর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ১১সাল হতে অদ্যাবধি চেয়ারম্যান লিটনের অনিয়ম দূনীতির কথা আমি যদি বলি আপনারা সাংবাদিকরা লিখে শেষ করতে পারবেন না। তার ক্ষমতার দাপট সন্ত্রাসী বাহিনী আনুলিয়া ইউনিয়নের অসহায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। বিচারের নামে ইউনিয়টিতে চলছে জুলুম অত্যাচার আর নির্যাতন। আমি আ.লীগের পক্ষ থেকে জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সরেজমীনে তদন্ত পূর্বক তার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ইউনিয়নের মুজিব আদর্শের সৈনিকদের উজ্জীবিত করার করার দাবী জানাই। পাশাপাশি যে কোন মুহুর্তে আমি সহ আমার পরিবার চেয়ারম্যান লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জানমাল হারানোর স¤া¢বনা বিদ্যমান বলে আমি মনে করি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবর পেয়ে আশাশুনি থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানাগেছে।