নীলফামারীর জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, মিথ্যে অভিযোগে হয়রানী এবং প্রতারনার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিক। ৩ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর ডক্টরস হসপিটাল ও কার্ডিকেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন তাহমিদ ইমাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। এ সময় তিনি বলেন আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ এনে এইচ এম নুরুন নবী চৌধুরী নামে এক প্রতারক সে সময়ে দায়িত্বে থাকা নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগটির তদন্ত না করে উল্টো সিভিল সার্জন আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবীসহ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেন। আমি তার কথায় রাজি না হলে তিনি আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার নোটিশ প্রদান করেন। আমি এ বিষয়টি পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা তদন্ত করে আমার কাছে জবাব চেয়ে সময় প্রদান করেন। আমি সকল প্রকার কাগজপত্র স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান বরাবর প্রেরন করি। এর ফলে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয় যে এখানে কোন শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেনি। আসলে শিশুটির চিকিৎসা হয় অন্য কোন স্থানে। আর সেখানে গর্ভের ওই শিশু মারা যায়। যেখানে শিশু মারা গেছে সেখানের লোকের বিরুদ্ধে মামলা না করে তারা আমার সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার রটাচ্ছে। যদি আমার প্রতিষ্ঠানে তাদের শিশূ মারা যেত তাহলে কেন তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করলো না। আমার বিরুদ্ধে মামলা না করে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে এবং আমার কাছ থেকে অর্থ নেয়ার জন্য মিথ্যে অভিযোগ দেয় বিভিন্ন দপ্তরে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় তারা প্রতারণা করে আমার প্রষ্ঠিানকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। এ সকল প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি বিঞ্জ আমলী আদালত সৈয়দপুর নীলফামারীতে তাদেও বিরুদ্ধে আলাদাভাবে দুটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় আসামি করা হয় এইচ এম নুরুন নবী চৌধুরী,সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন,সালেহা বেগম,মাহমুদা সুলতানা সুমিকে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকটিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলো।