ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িতে হামলার মামলায় আওযামী লীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর ও গোয়ালচামট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম গোলাম আজাদ (৪৮)। তিনি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা। গোলাম আজাদ ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
গ্রেপ্তার হওয়া অপর ব্যাক্তি হলেন আবদুর রাজ্জাক (৫২)। তিনি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মুচিবাড়ি সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্টেশন সড়ক এলাকা থেকে গোলাম আজাদকে এবং দুপুর ৩টার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আবদুর রাজ্জাককে।
প্রসঙ্গত গত ১৬ মে রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। ওই হামলার ঘটনায় ১৮ মে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে একটি মামলাদায়ের করেন সুবল চন্দ্র সাহা।
গত ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ মামলার আসামি হিসেবে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলও রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, বিকেলে গোলাম আজাদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আবদুর রাজ্জাককে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি বলেন, সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় এই দুইজনকে নিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ফরিদপুর সদর কোর্টের সিএসআই সুকান্ত দত্ত বলেন, সন্ধ্যায় ফরিদপুরের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসেনের আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গোলাম আজাদ। তিনি বলেন, জবানবন্দী গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।