আহ ! কি দারুন সময় পার করছে গ্রাম এলাকার শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন সময় স্কুল বন্ধ। নেই পড়ালেখার ঝক্কি ঝামেলা। অলস সময় পার করার এক দারুন ইভেন্ট হয়েছে তাদের বরশি দিয়ে মাছ ধরা। যেতে হচ্ছে না স্কুলে আবার পড়া লেখা ও করতে হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে চিন্তা মুক্ত ভাবে চলাচল করছে। অনেকে মাছ ধোরে সময় পার করছে।
গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাটলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে। হাসান মাহমুদ ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। পড়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পিতা ইহছানুল হকের কেনা ইজিবাইক চালানোর পাশাপাশি খালে বিলে বরশি দিয়ে মাছ ধরে সময় পার করছে সে। কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গ্রামের মনিরুল ও বশির আহম্মেত মহাসড়কের পাশে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। খোলা আকাশ প্রচন্ড রোদ্র তার পর ও তারা মনে করছে তাপদাহ কিছু। মনের আনন্দে মাছ ধরার কাজে ব্যাস্ত রয়েছে।
তার সহপাঠী বন্ধুরাও সকাল-বিকালে বরশি দিয়ে মাছ ধরছে। সময় পার করার পাশাপাশি খাল বিল থেকে মুল্যবান চ্যাং, টাকি, কৈ, সিং ও টেংরা মাছ সংসারের খোরাক যোগাচ্ছে।
রাশেদুল ও নাজমুস সাকিবও জানালো তাদের মাছ ধরার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। সকাল হলেই তারা নিকটস্থ সোনাইকুড়ি ও হাওনঘাটার বিলে মাছ ধরতে যাচ্ছে। বরশিতে কেঁচো গেঁথে টুকিয়ে টুকিয়ে নানা প্রজাতির মাছ ধরছে।