ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার অসহায় হতদরিদ্র ছেলে মো. ঝান্টু মিয়া (৪০) চোখ-মুখসহ কপালের অর্ধেক অংশে বড় আকৃতির টিউমার হওয়ায় যন্ত্রনাদায়ক জীবন কাটাচ্ছেন।
ঝান্টু মিয়া জানায়, এ টিউমারের জন্য ঠিকমতো কাজ করা যায় না। ঘুমাতেও পারা যায় না। কপালসহ মাথাটা সব সময় ভারী ভারী মনে হয়। হঠাৎ করে কেউ দেখলে তারা যেন আতকে উঠেন। ইচ্ছে থাকা সত্বেও কোথাও যেতে পারি না। কাজ ছাড়া বেশির ভাগ সময় ঘরে থাকতে হয়।
তিনি আরও জানান, জন্মের প্রায় ১৩-১৪ বছরের মাথায় হঠাৎ তার চোখের উপরের অংশে ছোট্ট একটি টিউমার দেখা দেয়। তবে বয়সের সাথে সাথে টিউমারটি বাড়তে থাকে। বর্তমানে একটি চোখ টিউমারে ঢেকে গেছে। সেই সাথে চোখের নিচ ও কপালের অর্ধেক অংশ সহ মাথার দিকে যাচ্ছে। শরীরের এ অবস্থা নিয়েই দৈনিক দিনমজুরের কাজসহ চলাফেরা করতে হচ্ছে তাকে। তার পরিবারে স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দৈনিক দিনমজুর কাজেই চলছে তার এই সংসার। কাজে ভারী কোন জিনিস আনা নেওয়া করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে জীবন বাঁচাতে কষ্ট করেই তার কাজ করতে হয়। সংসারে অভাব অনটন থাকায় অর্থের অভাবে উন্নত কোন চিকিৎসা করতে পারছে না ঝান্টু।
টিউমারটি দিন দিন অস্বাভাবিক আকার ধারণ করায় চলাফেরা করতে তার রীতিমত অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করালেও কোন উপকার পায়নি সে। সম্প্রতি নিজের চেষ্টায় চিকিৎসা নিতে ঢাকার একটি হাসপাতালে যান ঝান্টু। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমারটি অপসারণ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর এজন্য তাকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাগবে বলে সেখান থেকে জানানো হয়। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এমনিতেই একচোখ টিউমারে ঢাকা পড়েছে। দিন দিন যেভাবে বাড়ছে এখন অপর চোখ নিয়ে পরিবারের লোকজন শঙ্কায় রয়েছেন।
ঝান্টু বলেন, দৈনিক যে টাকায় আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি সবার মতো সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। তাই চিকিৎসার জন্য দোয়া ও সমাজের বিত্তবান এবং সরকারের কাছে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়েছেন ঝান্টু মিয়া।