লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার কুশাখালীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে গুরুত্বর আহত রোশনা (৫৫), ইমন (২৫), রোজিনা (২৬),স্বপ্না(৩৫),লাকী বেগম (৩০), আরজু (২৯), জাহাঙ্গীর (২৪), সবুজ (২৮), রোশনা ও ইমন কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ছাড়া অন্যরা আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে,প্রায় অর্ধশত বছর আগে কুশাখালী এলাকায় সরকারী খাস একশ’ শতাংশ জমি নদী থেকে চর জাগে উঠে। ওই জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়।
২০০২ সালে জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লীজ নেন গোরফান, মাহফুজা ও নুরুল হুদা নামে ৩ ব্যক্তি। জমির মালিকানা ফিরে ফেতে পূর্বের মালিকরা আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের পক্ষে রায় হলেও রায়ের বিরুদ্ধে লীজধারীরা আপিল করেন। এতে উচ্চ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। বিকেলে গোরফান ওই জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় পূর্বের মালিক পক্ষের লোকজন। এতে দুই পক্ষের নারী পুরুষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আহত হন নারী-পুরুষসহ ১০ জন।
ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবিদার আবুল বাশার জানান, জমিটি তাদের পূর্ব পুরুষের ছিলো। নদীতে ভেঙে যাওয়ার পর পুনরায় চর দেয়। তখন সরকারী রেকর্ডভূক্ত হয়। কিন্তু তারা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরইমধ্যে আবদুল গোফরানগং নামমাত্র লীজ নিয়ে তাদের জমিটি দখল করার পাঁয়তারা করতেছে। তারা ওই জমিতে ধানের চারা রোপন করতে গেলে তাঁরা বাঁধা দিই।
এতে কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র জুয়েল, নিজাম, কফিল, মাইনউদ্দিন, মোস্তফা ও জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। হামলায় তাঁদের পক্ষের ৫ জন আহত হয়।
অপরদিকে লীজধারী আবদুল গোরফান জানান, সরকার ২০০২ সালে তাদের তিনজনের মধ্যে ভূমিহীন হিসেবে ৯৯ বছরের জন্য জমিটি বন্দোবস্ত দেয়। সে হিসেবে তাঁরা জমির ভোগ দখল করে আসছেন। জমিটি হালচাষ দিয়ে ধানের চারা রোপন করতে গেলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলায় তাদের বাড়ীর নারী-পুরুষসহ ৫ জন আহত হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান,বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।