করোনায় আর যাই হোক আর তাই হোক করেছে একটা কাজ- জঙ্গী-জামায়াত-ধর্মব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সকল স্তরের দুর্নীতিবাজগুলোকে কিছুদিনের জন্য হলেও দমিয়ে রেখেছে। আজ যখন সরকার সব স্বাভাবিক করে দিচ্ছে, তখন তারা বেরিয়ে আসছে, যারা দেশ-মানুষ-মাটির শত্রু। এরা হলিআর্টিজান সহ শত শত বোমা হামলা ধর্মকে রক্ষার নামে করলেও আজ সারাবিশ^ যখন স্থবির তখন নির্মমতার রাস্তা ধরে এগিয়ে আসছে অন্ধকারের মানুষেরা। একারণেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে- জঙ্গি ও অপরাধীরা বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন করে আস্তানা গড়ে তুলতে পারে। তাই ভাড়াটিয়া তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধিশালী করার পরামর্শ তাদের জঙ্গি তৎপরতা ও মাদক বাণিজ্যসহ ভয়ঙ্কর নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত দুর্ধর্ষ অপরাধীরা যাতে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে বাড়ি ভাড়া নিতে পারে।
সারাদেশ সন্ত্রাসের অভায়রণ্যে পরিণত হয়েছে। ছাত্রশিবির থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল-যুবদল-যুবলীগ-যুব মহিলা লীগ এমনকি মূল দল পর্যন্ত সবাই-ই সন্ত্রাসের সতেরো পা দেখিয়েছে গত ৪৯ বছরে। সন্ত্রাসের সাথে সাথে তারা মাদক ও নারী ব্যবসাতেও কম যায়নি। তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে প্রকাশিত সকল পত্রিকায়। ধারাবাহিকতা অব্যহত আছে এখনো, কখনো নামে, কখনো বেনামে ক্ষমতাসীন ও সাবেক ক্ষমতাসীনরা তাদের রাজত্বে ঠাঁই দিচ্ছে শত শত-হাজার হাজার-লাখ লাখ অপরাধীকে। পিছিয়ে নেই এই কাজে পীর-মুরিদী ধারার ধর্মীয় দলগুলোও।
স্বাধীনতা কেবল একটি শব্দ এখন, যেটাকে ইচ্ছে হলেই যে কেউ ব্যবহার করে বনে যাচ্ছে সরকারি দলের নেতা-কর্মী বা সরকারী জোট-মহাজোট-যুক্তফ্রন্টের নেতা। গজিয়ে উঠছে অপরাধের রামরাজত্ব। কিন্তু এভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি করে কতদিন চলবে তাদের? একটা সময় অপরাধের পাল্লা ভাড়ি হবে; ক্ষয়ে যাবে বাংলাদেশের চারপাশে সৃষ্টি করা ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমতার রহস্য। তখন জানা যাবে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে কোন সেক্টর থেকে কোন কর্মকর্তা-সচিব-মন্ত্রী বা এমপি কত টাকা লোপট করেছেন। জানতে পারবো ভয়াবহ নারায়ণগঞ্জ তল্লা মসজিদ দুর্ঘটনায় কোন সেক্টর কতটা দায়ি? কাদের কারণে নির্মমভাবে প্রাণ গেছে সাংবাদিক নাদিম সহ নিরাপরাধ নামাজিদের!
সেই প্রতিক্ষায় থাকার পাশাপাশি সাহসের সাথে বলতে চাই- অপরাধীরা যেন কোনভাবেই সঠিক তথ্য না দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে না পারে, সেজন্য সচেষ্ট থাকতে হবে বাড়িওয়ালাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও। কেননা, অপরাধী দুর্নীতিবাজরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আপনার আমার সবার প্রিয় বাংলাদেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, সেভাবে চলতে থাকলে বিশে^ শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন নয়; আমরা হবো সকল অন্যায়েও চ্যাম্পিয়ন। ষড়যন্ত্র চলছে ৭১ থেকেই, ৭৫ তার প্রমাণ দিয়ে যায় বারবার আগস্টে এসে।
করোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে দেশের গৃহায়ণ-স্বরাষ্ট্র-প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন সেক্টরের সমস্যাগুলো চলে আসে সামনে নির্মমতার জানান দিতে। হয়তো একারণেই মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা শহরের ভাড়াটিয়াদের যে বিশাল তথ্যভান্ডার গত কয়েক বছরে গড়ে তুলেছিল তা করোনাঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেছে। এ সুযোগে দুর্ধর্ষ জঙ্গি ও পেশাদার অপরাধীরা বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন করে তাদের আস্তানা গড়ে তুলতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জোরাল আশঙ্কা করছে। আশঙ্কার উপরে বসে না থেকে উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভাড়াটিয়া ডিজিটাল তথ্যভান্ডার দ্রুত সমৃদ্ধিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে বাড়ি মালিকদের সতর্ক করারও তাগিদ দেওয়া প্রয়োজন।
২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তারা ৭২ লাখ বাড়ি মালিক-ভাড়াটিয়ার নাম-ঠিকানাসহ আনুষঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ করে তা ডিজিটাল নথিভুক্ত করেন। পরে এসব ভাড়াটিয়ার মধ্যে যারা বাসা পরিবর্তন করেছেন এবং ওই বাসায় যে নতুন ভাড়াটিয়া এসেছেন বাড়ি মালিকরা সে তথ্য পুলিশকে তাৎক্ষণিক জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ পুরানো ডাটা পরিবর্তন করে ওইসব ভাড়াটিয়ার নাম-ঠিকানা ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে সংযুক্ত করেছে। ফলে এতদিন রাজধানীর ভাড়া বাড়িতে জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ অপরাধীদের আস্তানা গড়ে তোলা কঠিন ছিল। তবে করোনা মহামারিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ৫০ সহগ্রাধিক ভাড়াটিয়া ঢাকা ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাওয়ায় এবং ৩০ হাজারের বেশি ভাড়াটিয়া এলাকা পরিবর্তন করে অন্যত্র সাবলেটে ওঠায় পুলিশের এতদিনের পরিশ্রমে গড়ে তোলা ডিজিটাল তথ্যভান্ডার পুরো এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনাকালীন যে বিপুল সংখ্যক ভাড়াটিয়া বাসা পরিবর্তন করেছেন, তার খুব স্বল্পসংখ্যক বাড়ি মালিক তা পুলিশকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে নতুন ও পুরানো ভাড়াটিয়ারা তাদের বাসায় যে সাবলেট দিয়েছেন তার তথ্য পুলিশ পায়নি বললেই চলে। ফলে নতুন ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তারা অনেকটাই অন্ধকারে রয়ে গেছেন।
করোনার কয়েক মাসে বেশকিছু অপরাধী অবশ্য গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যারা করোনাকালীন ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। এর একটি বড় অংশ নতুন সাবলেটে উঠে অপতৎপরতা চালাতে শুরু করেছিল। তবে কেন যেন মনে হচ্ছে- নতুন করে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ অভিযান চালানো হলে বিপুল্লংখ্যক অপরাধীর গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া যাবে। করোনা মহামারি শুরুর পর তার থানা এলাকার বিপুল্লংখ্যক ভাড়াটিয়া ঢাকা ছেড়েছেন। ফলে অনেক বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাড়ি মালিকরা তাদের দুই-তিন রুমের অধিকাংশ ফ্ল্যাট একাধিক পরিবারের কাছে সাবলেটে ভাড়া দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বড় বাসাগুলো মেস হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এ সুযোগে সেখানে অপরাধীদের গা-ঢাকা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে তিনি তার থানা এলাকায় ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ অভিযান জোরদার করেছেন। তিনি পুলিশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি ফরম পাঠিয়ে নতুন ভাড়াটিয়াদের নাম-পরিচয় জোগাড় করে তা ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে ‘ইনপুট’ দিচ্ছেন। যেসব বাড়ি মালিক বা কেয়ারটেকার ভাড়াটিয়া তথ্য দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন, প্রয়োজনে তাদের থানায় ডেকে এনে এ ব্যাপারে সচেতন করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাড়াটিয়া তথ্য দেওয়ার মুচলেকাও নেওয়া প্রয়োজন।
তবে বরাবরের মত দায়সাড়া গোছে বলা হচ্ছে- ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে এরই মধ্যে তাদের নতুন করে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে জোরাল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার প্রতিটি মেস ও সাবলেট দেওয়া বাসা-বাড়িগুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের তাগিদ দিয়েছেন। এ অবস্থায় তারা থানার রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি এ ব্যাপারে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ ও নিজের স্বার্থে বাড়ি মালিকরা যেন বাসা ভাড়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানা পুলিশকে অবহিত করেন সে ব্যাপারে তাদের সচেতন করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, ভাড়াটিয়া তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে বাড়ি মালিকরা অনেকে সচেতন নন। এছাড়া করোনার কারণে বাড়িওয়ালারা অনেকে বাসা থেকে বের না হওয়ায় নতুন ভাড়াটিয়া তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হয়েছে। তবে ঘরে বসে স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিএমপির নির্ধারিত অ্যাপস (ঈওগঝ উগচ) ডাউনলোড করে ভাড়াটিয়া তথ্য দেওয়া যায়, যা বাড়ি মালিকদের অনেকেই জানেন না। তাই এ ব্যাপারে মাইকিং কিংবা গণমাধ্যমে প্রচার করে নগরীর প্রত্যেক বাড়ি মালিককে জানানো হলে করোনা পরিস্থিতিতেও ভাড়াটিয়া তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংকট থাকবে না।
এটাও সত্য যে, করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়াটিয়া তথ্য না দেওয়ার কারণে এরই মধ্যে রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক বাড়ি মালিক বিপাকে পড়েছেন। তাদের কারও কারও নতুন ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে মাদক ও জাল নোটসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট ভাড়াটিয়াকে ধরা যায়নি। তাদের তথ্য বাড়ি মালিকরা থানায় জমা দেননি, এমনকি তারা নিজেরাও তা ভালোভাবে সংগ্রহ করেননি। ফলে তাদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এমন অসংখ্য ঘটনা মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে করোনাকাল। এমনই একটি ঘটনা হলো- রাজধানীতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলে তার ১২টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৪টি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া বাসা ছেড়ে দেন। এর মধ্যে জুনে দুটি ফ্ল্যাট ভাড়া হলেও বাকি দুটি ফ্ল্যাট ৪ মাস ফাঁকা পড়ে ছিল। নিরুপায় হয়ে তিনি দুটি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটিতে দুই পরিবারকে সাবলেট দেন এবং অন্যটি মেস হিসেবে ভাড়া দেন। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পুলিশ তার নিচতলার মেসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। অথচ মেসের যে সিট বোর্ডারের সুটকেসে তা পাওয়া যায়, তাকে পুলিশ ধরতে পারেনি। রুমমেটরা তার যে পরিচয় ও গ্রামের বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন তা সঠিক ছিল না। এ অবস্থায় পুলিশের কাছে তাকে নানাভাবে জবাবদিহি করতে হয়েছে। আগের সব ভাড়াটিয়ার তথ্য তিনি যথাসময়ে পুলিশকে দেওয়ায় তাকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। শুধু রাজধানীতেই নয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটসহ যেসব বিভাগীয় ও জেলা শহরে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করে শক্তিশালী ডিজিটাল তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হয়েছিল সবখানেই তা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কেননা প্রতিটি বিভাগ ও জেলা শহরের লাখ লাখ মানুষ করোনা মহামারিতে চাকরি হারিয়ে বাসা বদল করেছে। যাদের সিংহভাগই ভাড়াটিয়া।
ভাড়াটিয়া তথ্যভান্ডার এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় তারা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন স্বয়ং পুলিশও। কেননা করোনাঝড়ে কর্মহীন হয়ে পড়াদের একটি অংশ আর্থিক সংকটে পড়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগে জঙ্গি সংগঠনগুলো কর্মহীন তরুণদের তাদের দলে ভেড়ানোর জন্য তৎপরতা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রবল হয়ে উঠেছে। তাই নতুন করে ভাড়াটিয়া তথ্য জোগাড়ের বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে। ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নতুন করে নথিভুক্ত করা গেলে এ সংকট অনেকাংশেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। মনে রাখতে হবে- দেশের যেসব জেলায় আগে থেকে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ওই জেলায় নতুন করে এ কার্যক্রম জোরেশোরে চালু করার জন্য এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব জেলায় তা এখনো পুরোদমে শুরু করা হয়নি সেখানেও তা শুরু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সারাদেশে এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালু করা গেলে অপরাধীদের ভাড়া বাসায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকার সুযোগ অনেক কমবে। এছাড়া জঙ্গিরাও বাসা ভাড়া করে আস্তানা গড়ে তোলার সাহস হারাবে। এছাড়া বাড়ি মালিকরা ভাড়াটিয়া তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করলে তারা নিজেরাও নিরাপদে থাকবেন। কেননা পরিচয় গোপন করে জঙ্গি কিংবা কোনো অপরাধী ভাড়া বাসায় অবস্থান করলে এ জন্য বাড়ি মালিক দায়ী হবেন না। অপরাধী ভাড়াটিয়াকে নিবন্ধনের সব তথ্য পূরণ করে দিতে বলা মাত্রই তারা ফরম পূরণে গড়িমসি করবেন। তারা দ্রুত ভাড়া বাসা ছেড়ে চলে যাবেন। অপরাধ সংঘটন করে কোনো ভাড়াটিয়া পালিয়ে গেলে তার নিবন্ধন ফরম ডাটাবেজ থেকে সংগ্রহ করে পরিচয় বের করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশকে করোনা পরিস্থিতিতে যে যার মত ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে; দুর্নীতিতে এগিয়ে গেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন সচিব-কর্মকর্তা এবং সংসদ সদস্য। পিছিয়ে গেছে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ারা। আর এই ভাড়াটিয়াদের কথা ভেবে বাড়ি ভাড়া সমস্যা সমাধানের দাবীতে অনশন করেছি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৭ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে। জীবনের কথা না ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে-সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রোড মার্চ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু সমাধান হয়নি সমস্যার। আমরা আছি চরম অন্ধকারেই। তার উপর আবার মরার উপর খরার ঘা হিসেবে আসছে অপরাধী-দুর্নীতিবাজ-জঙ্গীঝড়...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি