পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় চমন প্রামাণিক নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণকে ফিরে পেলেন স্বজনরা। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গত রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই তরুণকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় চাটমোহর থানা পুলিশ। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুতত হয়ে পড়েন মা চম্পা খাতুন। এ সময় পুরো থানা চত্বরে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়া উপজেলার বাহিরচর গ্রামের আলম প্রামাণিকের ছেলে চমন প্রামাণিক জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। সম্প্রতি তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনার সিংগা এলাকায় মানবকল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসারত অবস্থায় গত পনেরো দিন আগে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই তরুণ। এরপর তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জানানো হয় স্বজনদের। সন্তান হারানোর কথা শুনে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন মা চম্পা বেগম।
এদিকে গত শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাটমোহর পৌরসভার সামনে বসে চমনকে কান্নারত অবস্থায় দেখে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী বিশু প্রামাণিক তাকে থানা পুলিশের জিম্মায় দেয়। পরে পুলিশ কুষ্টিয়া থানা পুলিশকে অবগত কওে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চমনের ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর পুলিশ যোগাযোগ করে তার পরিবারের সাথে। রোববার সকালে চমনের মা চম্পা বেগম,ভাই তমাল থানায় এলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর পর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে চমনকে তাদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে পেয়ে মা চম্পা বেগম পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। পুলিশের আন্তরিকতার জন্য তারা ঋণী।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন,চমন প্রামাণিক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার তাকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।