সন্তানের জন্মদিন বাবা-মায়ের কাছে সকল উৎসব থেকে অনেক বড় কিছু। কিন্তু করোনা কালিন পরিস্থিতিতে এবার ছোট ছেলে ইরাসাম’এর তৃতীয় জন্মদিন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় দাদা-দাদিদের সাথে কাটিয়ে দিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক, তার সহধর্মিনী ও ২ ছেলে।
৫ সেপ্টেম্বর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা শহরে গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যরা জানান, একজন জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রী আমাদের সাথে তাদের ছেলেদের জন্মদিন পালন করবেন তা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আমাদের জন্য অনেক রকমের খাবার রান্না করে এনেছেন ডিসি স্যার ও তার সহধর্মীনী। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা সুলতান (৮৫), কাফি (৮০), সাবেত আলী (৬৫), কহিনুর বেগম (৫৫), মমিন উদ্দিন (৭৮),একরামুল (৭০) খুটু মামুদ (৭০) সহ অন্যান্যরা এমন আয়োজনে অভিভূত বলে মন্তব্য করেন। তারা দুঃখ করে বলেন নিজের ছেলে মেয়েরা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অন্যের ছেলে মেয়েরা এসে আমাদের ভাল খাবার ও পরনের কাপড় জামা দিয়ে যাচ্ছে।
কথা বলে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ফাতেহা শিরিন বৃদ্ধাশ্রমের অসহায়দের মাঝে নিজ হাতে রান্না করা খাবার ও তাদের হাতে বস্ত্র সামগ্রী তুলে দেন। তাদের বড় ছেলে ইসমাম ও ছোট ছেলে ইরাসাম বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থিত সদস্যদের সাথে জন্মদিনের কেক কাটে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বললেন, আজকের এ দিনে তিনি তার দুই ছেলেকে বৃদ্ধাশ্রমে অসহায় সেই বাবা মাদের মনের কথা শোনালাম। যাতে আর কেউ পিতা-মাতাকে অবহেলিত করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে না যায়। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা তাদের কষ্ট বেদনাকে আপন করে তোলা আমাদের কর্তব্য। আর এটি ছিল ছেলের জন্মদিনের একটি ভিন্ন উপহার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, এনডিসি জাহাঙ্গীর হোসাইন,কিশোরীগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ, কিশোরীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সাজুসহ অনেকে।