প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরের মানুষের খবর রাখেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি নিরলস ভাবে কাজ করছেন। আমরা যারা চাকুরিজীবী তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য স্বচ্ছল বেতন কাঠামো তৈরি করেছেন।
সোমবার পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় জনপ্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুধীবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি এ সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমনের বিষয়ে সতর্ক করে আরও বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পেলাম এটা ভাবার কোন অবকাশ নেই। সতর্ক না থেকে ভুল করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সকল ক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
করোনাভাইরাস কালে ত্রাণ নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশে ৭২ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছে যার মধ্যে মাত্র ১৩১ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যা সারাদেশের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এই প্রথম ত্রাণনিয়ে অনিয়ম কারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছেন। বক্তেেব্য উপজেলা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন দাবীর জন্য বলেন আমি সকল উপজেলা চেয়ারম্যানের তুলনায় আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি একনো দিব।
হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন আটঘরিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ ফুয়ারা খাতুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম রতন, আঞ্চলিক অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্যদেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা মো. রফিকুল হাসান, আটঘরিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর মো. জহুরুল হক, দেশ বিবরণের সম্পাদক আবদুস সাত্তার মিয়া আটঘরিয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান রানা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সুধীজনের উন্মুক্ত প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ। এর আগে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উপজেলা চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রাজু আহম্মেদ।