নওগাঁর রাণীনগর রেল ওয়ে ষ্টেশনের জায়গা থেকে আড়াইশতাধীক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেল ওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামন মঙ্গলবার সকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাণীনগর রেলওয়ে লাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে নওগাঁ-নাটোর মহাসড়রক নির্মান করা হয়েছে। এই সড়কের দুই পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুরে নিচুঁ ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় এবং ডোবায় মাটি কেটে ভরাট করে ২৮৪ টি ইটের তৈরি ভবন নির্মান করে দোকানপাঠ বসায়। এ ব্যাপারে রেল ওয়ের কর্মকর্তারা বারং বার বাধা দিয়েও অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মান বন্ধ করতে পারেনি। ফলে গত প্রায় একমাস আগে মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা করে আসছিল। এরইমধ্যে গত ১০/১২ দিন আগে লিখিত এবং আবারো মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হলেও ভবনগুলো অপসারণ করা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ রেল ওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামন অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু করেন। অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী মামুন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্থাপনা নির্মানকারীদের বৈধ কাগজপত্র করে দেয়া হবে স্থানীয় এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের এমন আস্বাশে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইট দিয়ে চারটি দোকান ঘড় নির্মান করেছেন। কিন্তু স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে পথে বসেছেন। এমন কথা জানিয়েছেন আরো কয়েকজন। তারা বলছেন স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে তারা চলবেন,কিভাবে সংসার ছেলে/মেয়ে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই ঘুম হারাম হয়ে গেল।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেল ওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামন জানান,দখল এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মানের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে এবং দখল মুক্ত করতে তাগিদ এবং মাইকিং করেও কোন ফল হয়নি। তাই অভিযান পরিচালনা করে রেল ওয়ের জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেল ওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করার চেষ্টা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।