কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বেড়িবাঁধ খ্যাত পর্যটন সমৃদ্ধ নিকলী হাওরে প্রতিদিন বেড়াতে আসে হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। নিকলী হাওরে বেড়াতে যাবার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাড়ায় চালিত ইঞ্জিনের নৌকা। এই নৌকা ভাড়া করতে নিকলী বেড়িবাঁধ নৌকা ঘাটে গেলেই শুরু হয় নৌকা ভাড়া করা নিয়ে দর কষাকষিসহ নানান জামেলা। র্দীঘ দিন থেকেই এই নৌকার ভাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে থাকলেও এর সুষ্ট কোন সমাধান হচ্ছে না। এতে করে আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ক্ষোব প্রকাশ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানাযায়, ইঞ্জিনচালিত নৌকা কেউ সকাল থেকে সারাদিন, আবার কেউ বা সারাদিন ও একরাত হাওরে থাকার জন্য ভাড়া করতে গিয়ে শুরু হয় নৌকার মাঝিদের সাথে দর কষাকষি। হাওরে এক দিনের জন্য সবোর্চ্চ ২২০০-২৫০০টাকা খরচ হয়। ৫০০০-৫৫০০ হাজার টাকা সবোর্চ্চ নিলেই যতেষ্ট সেখানে ১০-১৫হাজার টাকা দাবী করে নিচ্ছে নৌকার মালিক ও মাঝিরা।
আরো জানায়, মাঝে মাঝে ঘাঠে দেখা যায় হাওরে বেড়াতে যাওয়ার মত কোন নৌকা নেই তখন সুকৌশলে নৌকা ভাড়া বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুন। পরে ভাড়া ঠিকঠাক হলেই নৌকা এনে দেয় পর্যটকদের মাঝিরা। এতে করে পর্যটকরা পড়ে যান মহা বিপদে। নিকলী হাওরে বেড়াতে দেশ-বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা হাওরের সুন্দর্য উপভোগ করা শুরুতেই নৌকা ভাড়া দ্বিগুন দাবী করায় প্রতিদিন নতুন নতুন পর্যটকরা বিড়াম্বনার শিকার হচ্ছেন। ফলে কষ্ট করে নিকলী উপজেলায় এসে অনেকেই বাধ্য হয়ে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে হাওরে যাচ্ছেন সোন্দর্য উপভোগ করতে। আবার অনেক পর্যটক ও দর্শনার্থীরা অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে নিকলী হাওরে না গিয়ে চরম ক্ষোব প্রকাশ করে ফিরে যাচ্ছেন।
নিকলী হাওরে বেড়াতে আসা বিভিন্ন এলাকার পর্যটক ও দর্শনার্থীরা জানান, হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করার আগে আমাদের নৌকা ভাড়ার জামেলা শেষ করতে হয়। আমরা সবাই বেড়াতে আসার সময় নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নিয়ে আসি, এভাবে ভাড়া বেশি দিলে পড়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে আমাদের টাকার সমস্যায় পড়ে যাই।
এমতাবস্থায় বিষয়টি নজরে আনেন, নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চ্যোয়ারম্যান জনাব কারার শাহরিয়ার আহম্মেদ (তুলিপ) এবং এই বিষয়টিকে একাত্ততা জানিয়ে নিকলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল হক আয়াজ নিকলী নৌকার মালিক শ্রমিক সংগঠনের সাথে বসে নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক পর্যটকদের সুবিধার্থে নৌকা ভাড়া নির্ধারত করেন।
ট্যুরিজম বড় নৌকা নিকলী টু মিঠামইন ৭,০০০ টাকা।
ট্যুরিজম মাঝারি নৌকা, নিকলী টু মিঠামইন ৫,০০০টাকা।
ট্যুরিজম ছোট নৌকা, নিকলী টু মিঠামইন ৩,০০০ টাকা।
ট্যুরিজম বড় নৌকা, নিকলী টু ছাতিরচর ৩,০০০টাকা।
ট্যুরিজম ট্যুরিজম মাঝারি/ছোট নৌকা, নিকলী টু ছাতিরচর ২,০০০টাকা।
নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনার কারার শাহরিয়ার আহাম্মেদ (তুলিপ) জানান, নিকলী হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে নৌকার মালিক ও শ্রমিকদের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর নির্ধারিত গন্তব্যে জন্য নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করেছি। সার্বিকভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (রিয়াজুল হক আয়াজ) চাচাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিছুদিনের ভিতরেই রেস্টুরেন্ট মালিকদের সাথে আলোচনা বসবো।
জরুরী প্রয়োজনে: উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নিকলী ০১৯৫৮ ৪০০৪১৭
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নিকলী থানা ০১৭১৩ ৩৭৩৪৯০
উপজেলা ভাইষ চেয়ারম্যান, নিকলী ০১৭১০ ৭৫৬৯৬০
চেয়ারম্যান, নিকলী সদর ইউ:পি ০১৭১৬ ৫১০৬৩৩