চলনবিল অধ্যুষিত উপজেলার হাট-বাজারে ও বিভিন্ন মহাজনী দোকানে নকল ও ভেজাল পণ্যের রমরমা ব্যবসা চলছে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য,মসলা ও প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসা আকাশচুম্বি। চলনবিলের চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সকল পণ্যসামগ্রী তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে পশু ও মুরগীর খাদ্যও অবাধে তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিএসটিআই-এর কোন প্রকার অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে না। মানা হয়না পরিবেশ আইনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি স্থানে তৈরি করা হচ্ছে মুরগী ও পশুর খাদ্য ছাড়া সরিষার তেল,মসলা,পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। মেশানো হচ্ছে নানা রঙ। প্রতিনিয়ত এসব দ্রব্যসামগ্রী বাজারজাত করা হচ্ছে। একইসাথে বিভিন্ন মহাজনী দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রী সংরক্সণ ও বিক্রি করাও হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বিএসটিআই গত ২ সেপ্টেম্বর চাটমোহর পৌরসভার কাজীপাড়া মহল্লায় এমন এশটি কারখানায় অভিযান চালায়। সেখানে ভেজাল ও নি¤œমানের নানা পণ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে চা,মশার কয়েল,কেল রয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিন্ট্রেট মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মোঃ আঃ সালাম ও বিএসটিআই,রাজশাহীর পরিদর্শক আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মথুরাপুর ইউনিয়নের উথুলী গ্রামে একটি বেকারীতেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে নেংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউরুচি ও বিস্কুট তৈরি করা ও মেয়াদ না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে নকল ও ভেজাল পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। ফলে জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে।