গোয়ালন্দ উপজলোর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার পদ্মা-যমুনার মোহনায় প্রায় প্রতিদিনই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বিশাল বিশাল আকৃতির বিভিন্ন মাছ।
মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদুরে মমিন জেলের জালে ধরা পড়ে ৪৬ কেজির ওজনের একটি বাগাইড় মাছ। সকালে দৌলতদিয়া রওশন মোল্লার আড়তে মাছটি নিয়ে আসলে সুমাইয়া মৎস্য আড়তের মাছ ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা মাছটি ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেয়। মাছটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় করে স্থানীয়রাসহ ফেরি ঘাটের সাধারন যাত্রীরা।
মমিন হলদার বলেন, মঙ্গলবার দিন রাত ১১ টার দিকে নদীতে জাল ফেলি, রাত ২টার দিকে টেনে বড় আকারের একটি বাগাইড় মাছটি ধরি। বর্তমানে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। যার ফলে ছোট বড় সব ধরনের মাছ এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
গত সোমবারও ফেরি ঘাটের অদুরে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে ৪৩ কেজি ওজনের একটি বাগাইড় মাছ। সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটের দুলাল মন্ডলের আড়তে মাছটি বিক্রি করেন আনন্দ হলদার নামের এক জেলে। মাছটি আড়ত থেকে ১১৪০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৯ হাজার ২০ টাকায় কিনে নেন দৌলতদিয়া ঘাটের শাকিল সোহান মৎস্য আড়তের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ শাজাহান শেখ। এর আগে গত সপ্তাহে দৌলতদিয়া পদ্মা-যমুনার মোহনায় হযরত আলী নামে এক জেলের জালে ৩০ কেজি ওজনের বাগাইড়, সাধু হালদারের জালে ২৬ কেজি ওজনের বাগাইড়, গোবিন্দ হলদারের জালে ২৫ ওজনের বাগাইড়, ফারুক হলদারের জালে ধরা পড়ে ২৭ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ, শাহীন হলদারের জালে ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ ধরা পড়ে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজলো সিনিয়র মৎস্য র্কমর্কতা রেজাউল শরীফ জানান, সারা বছর নদীর এ এলাকায় বড় মাছ খুব বেশি একটা ধরা পড়েনা। তবে র্বষার প্রায় পুরো মৌসুম জুড়েই এ এলাকায় বড় বড় মাছ দেখা যায়। আর বর্ষার শেষে বড় মাছগুলো বেশী ধরা পড়ে। এতে করে জেলেরা সারা বছরের চেয়ে এ সময়টাতে একটু বেশী আর্থিক ভাবে লাভবান হন।