বগুড়ায় পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে লাবণী (২৬) নামের এক নারী গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। লাবণী বগুড়া শহরের মালগ্রাম সিদ্দিকের মোড় এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত বাবু মিয়া।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লাবণী।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে লাবণী গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন।
লাবণীর স্বজনেরা জানান, লাবণী একজন স্বামী পরিত্যাক্ত নারী। তার আট বছর বয়সের একটি মেয়ে আছে। লাববণীর সঙ্গে খান্দার শাহপাড়া এলাকার মুন্নু ( ২৮) নামের এক মুরগীর ট্রাক চালকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুন্নু বিবাহিত। প্রায় চার বছর ধরে তাদের এই প্রেম ছিল। বিয়ের প্রলোভনে লাবণীকে অনেকবার ধর্ষণ করেন মুন্নু। এছাড়াও মুন্নু কয়েক দফায় লাবণীর কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, লাবণী ধার করে এই টাকাগুলো প্রতারক মুন্নুকে দেন। কিন্তু কিছুদিন আগে মুন্নু লাবণীকে বিয়ে করবেন না বলে জানান। এতে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
লাবণী প্রতারক মুন্নুকে বলেন, ‘তোমার জন্যে এতকিছু করলাম; আর তুমি আমাকে বিয়ে করবে না।’ আমার টাকাগুলো ফেরত দাও। পাওনাদাররা আমাকে চাপ দিচ্ছেন। আর তুমি আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো।’
লাবণীর ভাবী লিলি বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে লাবণী শহরের সৈকত হোটেলে যান। তাকে সেখানে মুন্নু ডেকেছিলেন।
মুন্নু সেখানে লাবণীকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। তোমার টাকাগুলোও ফেরত দিতে পারবো না। তোমার যা করার আছে তুমি করো।’
‘লাবণী তখন হোটেল থেকে বের হয়ে গিয়ে দুইটা গ্যাস ট্যাবলেট কিনেন। পরে বাড়িতে এসে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন লাবণী’ বলেন লিলি বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমরা লাবণীকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাবণীর মৃত্যু হয়। লাবণীকে বিয়ের প্রলোভনে অনেকবার ধর্ষণ করেন প্রতারক মুন্নু।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত মুন্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
খান্দার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাবণীর লাশ মর্গে রয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।