মোবাইল ফোনে পরকীয়ার মাধ্যমে এক গৃহবধূকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে গণধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায়।
তারাগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, পাশর্^বর্তী নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের থানাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার (২০) সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সূত্রে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণজন গ্রামের সৌরভ ইসলামের সাথে। সোমবার পরকীয়া প্রেমিক সৌরভ সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে আয়শা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে সৌরভের কাছে চলে আসে। কিন্তু সৌরভ তার বন্ধুদের সাথে ফন্দি আটে আয়শাকে গণধর্ষণ করার। সে আয়শাকে উপজেলার পাচানী হাজিরহাট এলাকার নদীর চরে নিয়ে গিয়ে ৪-৫ জন বন্ধুদের সাথে গণধর্ষণ চালায়। এতে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আয়শাকে উদ্ধার করে রোস্তম আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকীরা সব পালিয়ে যায়।
তারাগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, রাতে খবর পেয়ে ডিউটিরত তদন্ত কর্মকর্তা শুকুর আলী একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে পরকীয়া প্রেমিক সৌরভ পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী রুস্তম আলীকে গ্রেফতার করে। এই গনধর্ষনের ঘটনায় ৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামীকে রংপুর জেল হাজতে পাঠানো হয় এবং ভিক্টিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।