পুঠিয়ায় দীর্ঘদিন থেকে কোনো যাতীছাউনি নেই। যার কারণে, ঢাকাণ্ডরাজশাহী মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে ৯০ দশকের দিকে ঢাকাণ্ড রাজশাহী মহাসড়কে একটি যাত্রীছাউনি ছিল। পরে যাত্রীছাউনিটি উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে। কিন্তু মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করছে। তাদের ঝড়বৃষ্টি রোদের মাঝে কষ্ট করে মহাসড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে, তখন যাত্রীদের ভীষণ কষ্টের ভেতর পড়তে হয়। পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে থাকেন। কারণ এই উপজেলার উপর দিয়ে আরো ৪টি উপজেলায় প্রবেশ করতে হয়। অন্য উপজেলার মানুষ যাত্রীবাহি বাস হতে ঢাকা থেকে রাত্রীতে পুঠিয়া নামার পর তাদেরর নিজ বাড়িতে গভীর রাতে কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। তখন বাধ্য হয়ে যাত্রীদের সারা রাত পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ডের খোলা আকাশের নীচে সকাল হওয়ার অপেক্ষয় বসে থাকতে হয়। নির্দিষ্ট কোনো যাত্রীছাউনি না থাকার কারণে, দিনের বেলাও যাত্রীদের অনেক সমস্যা পড়তে হয়। যাত্রী হয়ে কোনো সুন্দরী নারি বাসস্ট্যান্ডে আসলে। বিভিন্ন ভাবে যুবক ছেলেরা জ্বলাতন শুরু করে। তখন অভিভাবরা বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাগমারা উপজেলার শমসের রহমান বলেন, ব্যবসার জন্য মাসে দুই হতে তিনবার ঢাকায় ব্যবসার মাল আনতে যেতে হয়। পুঠিয়া হতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর হাটের ১৭ কিমি। ঢাকা থেকে আসা পর রাতে পুঠিয়াতে কোনো গাড়ি থাকে না। সারা রাত বাজারের নৈশ্য প্রহরিদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাত পর করতে হয়। বাসমাষ্টার এবং বাসকাউন্টারের মালিকরা বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং উপজেলা প্রশাসনকে যাত্রীছাউনি ব্যাপারে একাধিকবার বলা হয়েছ্।ে তারা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু দির্ঘদিন হয়ে যাওয়ার পরও যাত্রীছাউনি করে দেয়নি। যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখে নিজেদের ভীষণ খারাপ লাগে কিন্তু আমাদের কোনো উপায় নেয়।
পুঠিয়া পৌর মেয়র মো.রাবিউল ইসলাম রবি বলেন, অতীতে যেখানে যাত্রীছাউনিটি ছিল। সেখানে বর্তমনে উপজেলা পরিষদ সীমানা প্রচীর ভেঙে দিয়ে তার পিছনে নতুন একটি বাথরুম নির্মাণ করে দিয়ে তারা ইজারা দিয়েছেন। বর্তমানে বাথরুম যাওয়া আসা করার স্থানটি,অতীতে যাত্রীছাউনি ছিল। উপজেলা পরিষদ আমাদের জায়গা দিলে এক মাসের ভেতর নতুন যাত্রীছাউনি নির্মাণ করে দেব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওলিউজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, যাত্রীছাউনি এলাকাটি পৌরসভার ভেতরে অবস্থিত। তাই এমূহুর্তে উপজেলার পক্ষে থেকে যাত্রীছাউনি করে দেয়া সম্ভব না। উপজেলার বাহিবে হলে আমরা যাত্রীছাউনি করে দিতে পারতাম।