পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা নতুনপাড়ায় দু’টি মুরগীর খামারের কারণে এলাকায় পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন না নিয়ে পাড়ার মধ্যে,সড়কের পাশে খামার দু’টি স্থাপন করেছেন জাহিদুল ইসলাম জিবরাইল ও তার ভাই শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরেই মুরগীর খামার পরিচালনা করছেন। মুরগীর খামারের বর্জ্য ও বিষ্টার দূর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে পথচারীদের যেমন চলা দায়,তেমনি খামারের চারপাশের বাসিন্দারা দূর্গন্ধে টিকতে পারছেন না। বেড়েছে রোগ ব্যাধি। ফলে বেড়েছে শিশুসহ সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এলাকাবাসী কোন প্রকার প্রতিকার পায়নি। ইতোমধ্যে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করলেও খামার দুইটি অপসারণ বা বন্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে খামারের আশপাশের একাধিক নারী-পুরুষ অভিযোগ করেন,খামারের দূর্গন্ধে তাদের শিমু ছেলে-মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দূর্গন্ধে তারা ভাত পর্যন্ত খেতে পারেন না। খামারের তীব্র দূর্গন্ধে আশপাশের বাড়ির লোকজন নানা রকম অসুখে ভুগছেন। করোনাকালীন এই সময়ে খামার পরিচালনায় কোন প্রকার নিয়ম মানা হচ্ছে না। নেই কোন প্রকার অনুমোদন। যারাই এ বিষয়ে অভিযোগ করেন,তাদেরকেই নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে খামারের মালিক ও আটলংকা প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের এমএলএসএস জাহিদুল ইসলাম জিবরাইলের সাথে কথা বলার জন্য বেশ কয়েক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার ছেলে সবুজ এ প্রতিনিধিকে জানান,আমাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ষড়যন্ত্র এটা। আমাদের ভালো তারা সহ্য করতে পারছে না। তিনি বলেন আমাদের খামারের কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই,নেই বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা। তাতে কোন সমস্যা নেই। এরকম কত অভিযোগ গেল,কত জায়গায়। কিছু হয় না। কোন সমস্যা নেই। তিনি জানান,খামারের অপর মালিক তার চাচা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শিক্ষা অফিসার। আমরা সবাই শিক্ষিত ও সবাই সরকারি জব করি।
এ বিষয়ে উপজেলা ভেটিরিনারী সার্জন ডাঃ রোকনুজ্জামান বললেন,আমরা বিষয়টির তদন্ত করেছি। খামার দুটি কোনভাবেই থাকার কথা নয়। কোন নিয়ম না মেনে খামার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জন্য ইউএনও মহোদয়কে বলা হয়েছে।