দুর্গাপুর-কলমাকান্দা রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে দুই উপজেলার জনতা। কলমাকান্দা-দুর্গাপুর এর বাসিন্দাদের আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রাস্তার পথিমধ্যস্থান নাজিরপুর ব্রিজ মোড় ও মধুয়াকোনা এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চন্দন বিশ্বাস,চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলতাবুর রহমান কাজল,দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আঃ হান্নান,চন্ডিগড় ইউপি মেম্বার জাহানারা বেগম,ইউঃ আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ কুদ্দুছ,সম্পাপদক মতিউর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি আবু সাইদ,এরশাদ মেম্বারসহ অনেকে বক্তব্যদেন। নেত্রকোনাার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা দুই উপজেলার যোগাযোগের একটি মাত্র সড়ক। প্রতিদিন দুই উপজেলার হাজারো মানুষ, যানবাহন থেকে শুরু করে এ্যাম্বুলেন্স সহ সকল কিছুই যাতায়াত করছে এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে যাত্রী চলাচল বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন খারাপ হতে থাকে সকড়টি। এরই লক্ষে এলজিইডির আওতায় দুর্গাপুর-কলমাকান্দা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়কটি নতুন করে সংস্কারের জন্য মোট তিন প্যাকেজে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট থেকে শুরু করে মে ২০১৯ এর দিকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো করা হয়নি শেষ। রাস্তার কাজ ডলি কনস্ট্রাকশন লিঃ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এর মাঝে দুগার্পুর-নাজিরপুর পর্যন্ত ১০ কি.মি একটি প্যাকেজ ও নাজিরপুর-কলমাকান্দা বাজার পর্যন্ত ১৫ কি.মি বাকী দুইটি প্যাকেজের কাজ ধরা হয়। যা চলতি বছরের ৬মে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশ কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও এখনো সড়কের বেশ কিছু অংশের কাজ বাকী রেখেছে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিম্ন মানের ইট দিয়ে ম্যাকাডম করে ফেলে রাখায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে তৈরি হয় ছোট বড় অসংখ্যা খানাখন্দের, ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার আশ-পাশের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে এর প্রভাব। রাস্তার বেহাল দশার কারণে অসুস্থ রোগি সহ কোন লোকই বাহিরে যেতে পারছেনা। দুর্গাপুর থেকে কলমাকান্দা মাত্র ২৫ কিলোমিটার এ সড়ক পাড়ি দিতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ও দ্বিগুন ভাড়া পড়িশোধে গন্তব্যে পৌছতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। এ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর সাথে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।