রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভায় গত এক দশকে প্রায় সাড়ে ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরেও প্রায় ৮ কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে এক দশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পা রাখবে দুর্গাপুর পৌরসভা। পৌরসভার বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের দুই মেয়াদে পৌর সদর সহ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আবারো নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক ডিজিটাল জনবান্ধব পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন।
দুর্গাপুর পৌরসভার প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ২০১১ সালে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। পৌরবাসীর আস্থা অর্জন করায় ২০১৬ সালে পুণরায় মেয়র নির্বাচিত হোন তোফাজ্জল হোসেন। মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর থেকে অর্থাৎ ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে শুরু করে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত .... কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেসব উন্নয়নমুলক কাজের মধ্যে রয়েছে, পয়ঃনিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পৌর এলাকা আলোকিত রাখতে সোডিয়াম লাইটের পাশাপাশি সৌর স্ট্রীট লাইট স্থাপন। রাস্তা আরসিসি, ডাব্লুবিএম ও কার্পেটিং করণ, বক্স কালভার্ট নির্মাণ, প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ, মশক নিধন, গণশৌচাগার নির্মাণ, মসজিদ মন্দির সহ সকল ধর্মীয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন।
দুর্গাপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সচিব (চলতি দায়িত্বে) শাহাবুল হক বলেন, গত ৯ বছরে ২০ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকার উন্নয়নমুলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরেও পৌর এলাকায় ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩ টাকার উন্নয়নমুলক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হলে দুর্গাপুর পৌরসভার চিত্র পাল্টে যাবে বলেও মনে করেনি তিনি।
শাহাবুল হক আরো বলেন, বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে গত ৯ বছরে দৃষ্টি নন্দন যে উন্নয়নমুলক কাজ হয়েছে ইতঃপূর্বে তা কখনোই হয়নি। চলতি অর্থ বছরে অসম্পন্ন কাজ গুলো শেষ হলে পৌর এলাকার উন্নয়ন সম্পন্ন হলে উন্নয়নের মহাসড়কে পা রাখবে দুর্গাপুর পৌরসভা।
এসব উন্নয়নের পাশাপাশি মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সাম্প্রতিক করোনা সঙ্কটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজ উদ্যোগে তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। সহায়তার হাত বাড়িয়ে কখনো পৌরসভা থেকে আবার কখনো নিজেই চলে গেছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়।
দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যেদিন থেকে রাজনীতি শুরু করেছি সেদিন থেকে সব সময় মানুষের কল্যাণ নিয়ে চিন্তা করি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭ সালে পানানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছিলাম। পরবর্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরতে ২০০৩ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। পরপর দুইবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের হাইকমান্ড আমাকে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন। এখনও দলের নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা করে ১৭ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছি।
তোফাজ্জল হোসেন আরো বলেন, ২০১১ সালে দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে নিরুঙ্কুশ ভাবে জয়লাভ করি। এরপর ২০১৬ সালেও দলের মনোনয়নে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হই। এই দুই দফায় পৌর এলাকার সর্বত্র যে উন্নয়নমুলক কাজ করেছি তা বিগত কোন জনপ্রতিনিধি করতে পারেননি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাকে পুণরায় দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক, ডিজিটাল ও জনবান্ধব পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।