জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজাকে হত্যার মামলায় চাচাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, ২০০৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জামালপুর সদরের কুমারগাতি এলাকার রইচ উদ্দিনের বড় ছেলে মমিন (২২) এর সাথে তার চাচা আনছার আলী প্রামানিক (৪০)এর ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে ১নং আসামি আনছার আলী ভাতিজা মমিনের মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুইদিন পর মমিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রইচ উদ্দিন বাদি হয়ে আনছার আলী প্রামানিকসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আসামি আনসার আলী প্রমাণিক পিতা মৃত তোরাপ প্রামাণিক, সাং- কুমারগাতী, থানা ও জেলা-জামালপুর-কে পেনেল কোর্ট, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারার অপরাধে মৃত্যৃদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা এবং অপর ৫ আসামি কলম প্রামানিক (৪৫), পিতা মৃত তোরাপ প্রমাণিক, শাহীন (২৩), সাইদুল(১৯) উভয় পিতা কলম প্রামানিক, শাইবানু (৪০) স্বামী- কলম প্রামানিক, শাবনান (৩৫) স্বামী আনছার আলী সাং- কুমার গাতী থানা ও জেলা জামালপুরকে পেনেল কোর্ট, ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন।
মামলার সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
রাষ্টপক্ষের মামলাটি পরিচালনা করেন বিজ্ঞ আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র পি.পি এবং আসামি পক্ষের বিজ্ঞ স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আনোয়ারুল করিম(শাজাহান) বিজ্ঞ এডভোকেট।