গাজীপুরের কালীগঞ্জে পৌর কাউন্সিলরের সীল ও স্বাক্ষর জাল করে ওয়ারিশ সনদ আনতে গিয়ে মাহমুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি অফিস সহকারীর হাতে আটক হওয়ার পর সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। থানায় কাউন্সিলরের লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের মৃত মো. মতিউর রহমানের ছেলে মাহমুদ মিয়া স্থানীয় অনিল চন্দ্র দে এর জমিজমা আত্মসাধের অসৎ উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ সীল ও স্বাক্ষর জাল করে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মাহমুদ কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহামদুল কবিরের সীল ও স্বাক্ষর জাল করে স্থানীয় অনিল চন্দ্র দে এর ওয়ারিশ সনদের জন্য পৌরসভার অফিস সহায়ক গিয়াস উদ্দিন ও নিন্মমান অফিস সহকারী মাকসুদা বেগমের নিকট জমা দেয়। মাকসুদা ওয়ারিশ সনদের ফি বাবদ ৩৬৩১নং রশিদের মাধ্যমে ২০০/- (দুই শত) টাকা গ্রহণ করেন। পরক্ষণেই এ বিষয়ে মাকসুদার সন্দেহ হলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে মোবাইল ফোনে জানতে চান। কাউন্সিলর তাকে আটক করতে বললে মাহমুদ সুকৌশলে মাকসুদার নিকট জমাকৃত আবেদনটি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ-সংক্রান্ত বিয়য়ে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহামদুল কবির বাদী হয়ে কালীগঞ্জচ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহামদুল কবির জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভার নিন্মমান অফিস সহকারী মাকসুদা বেগম আমাকে মোবাইল ফোনে জানতে চায় দেওপাড়া গ্রামের মাহমুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় অনিল চন্দ্র দে এর ওয়ারিশ সনদের জন্য আবেদন নিয়ে এসেছে। কিন্তু তার সীল ও স্বাক্ষর দেখে সঠিক মনে হচ্ছে না। আপনি কি জানেন। আমি বলি এ নামে কোন ওয়ারিশ আবেদনে আমি স্বাক্ষর করিনি বা সীল দেইনি। আপনি তাকে বসিয়ে রাখেন আমি আসছি। পরে মাহমুদ সুকৌশলে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ডিউটি কর্মকর্তা পি এস আই মো. মোজাফ্ফর আলী জানান, এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।