নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের কাজিরখিল গ্রামে দুই সন্তানের জননী (৩৮) গণধর্ষণের ঘটনায় এক ইউপি সদস্য সহ ৫ ধর্ষণকরীকে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ঃ স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক, মাসুদ, ইয়াছিন, আবদুল হক মাষ্টার ও ওবায়দুল হক প্রকাশ লেদু। সেনবাগ থানায় মামলা নং ১০ তারিখ ১০/০৯/২০ইং। গ্রেফতারকৃদের শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার কাজীরখিল গ্রামের দিন মজুর মিন্টুর সঙ্গে গাছের কাজ করার সুবাধে একই এলাকার দিদারের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরসুত্রধরে দিদার মিন্টুর বাড়ি আসা-যাওয়া করার সুযোগে মিন্টুর স্ত্রী (৩৮) ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর দিদার মিন্টু স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভান দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগদভূঁয়া বাজারের নিয়ে যায়। সেখানে ঘোরাঘুরি করে রাত করে ফেলে। যার একপর্যায়ে বাড়ি ফেরার পথে দিদার কৌশলে তার আরো ৫/৬ সহযোগী মোবাইল ফোন করে বাড়ি পাশ্চবর্তী স্থানে অবস্থান করতে বলে। তারা দুই কাজিরখিল নামকস্থানে পৌছলে দিদার সহ অপর সহযোগীরা দুই সন্তানের জননীকে জোরপুর্বক একটি ঝোপে নিয়ে রাতভর গণধর্ষন করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই শালিসে ধর্ষক দিদারের মাথা নাড়া করে দেওয়া এবং ব্যাবিচারে লিপ্ত থাকার অপরাধে ধর্ষিতা নারীকে বেত্রাঘাত করা হয়।
পরবর্তীতে নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী এর প্রতিকার চেয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে র্ধষণের সঙ্গে জড়িত ও শালিসে নারীকে মারধর এবং ভয়ভিতি দেখানোর অপরাধে ৫জনকে গ্রেফতার করে।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে সমাজপতিরা শালিসের নামে নির্যাতন ও থানায় আসতে বাধা এবং ধর্ষকে আশ্রয় পশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এদেকে গ্রেফতারকরা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।