চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার শিকারী মডেল বালিকা বিদ্যালয় টি ২০০১ সালে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়।ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে কোন বালিকা বিদ্যালয় না থাকায় নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এই বালিকা বিদ্যালয়টি খুব প্রয়োজনীয় ছিল। ১৯ বছর ধরে বিনা বেতন ভাতা ছাড়াই ১২জন শিক্ষক/কর্মচারীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। গত ২৩/১০১৯ ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে ভোলাহাট উপজেলায় একটি মাত্র শিকারী মডেল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি থেকে প্রতি বছর পাসের হার শত ভাগ। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের জন্য কোন পাকা ভবন নাই। টিন ও খড়ের তৈরি জরাজির্ণ শ্রেনি কক্ষে শিক্ষক মন্ডলিগণ পাঠদান দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেই জরাজির্ণ শ্রেনী কক্ষ গুলো পুরাতন হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে আড়াই শত ছাত্রী অধ্যয়নরত আছেন। এর মধ্যে কোরানা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ। তারপর একনাগাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে ৫টি পুরাতন টিনসেড শ্রেনি কক্ষ ভেঙ্গে পড়েছে। এখন স্কুল চালু হলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান দিতে হবে। ফলে চরম বিপদের মধ্যে ক্লাস করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বেতন ভাতা বা স্কুলের কোন অর্থ তহবিল না থাকায় শ্রেনি কক্ষ নিমার্ণ করতে পারছেন না স্কুল কতৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বিশ্বাস সুজন জানান, সুযোগ্য জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্কুলকে এমপিওভুক্ত করার কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এবং বর্তমানে স্কুলটিতে শ্রেনি কক্ষ ভেঙ্গে পড়ায় নির্মাণ করতে না পারায় পাকা শ্রেনি কক্ষ নির্মাণের দাবী করেন। এদিকে শ্রেনি কক্ষ নির্মাণের জন্য আর্থীক সহায়তার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন বলে জানান।