সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। তখনই নিকলীর হাওড় অধ্যুষিত উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর বাজারে গত ৫ থেকে ৭ সপ্তাহ ধরে গরুর বাজারে করোনা ভাইরাস থাকা সত্বেও এই বাজারে গরু বিক্রি কালীন সময়ে নেই কোনো সামাজিক দূরুত্ব। ইউনিয়ন পরিষদের পাশের জারইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তারা বছরের পর বছর ধরে গরুর হাট বসিয়ে আসছেন। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে তাদের কোন ইজারা নেই বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় সরেজমিন গেলে এসব চিত্র পরিলক্ষিত করা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী গরু পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর থেকে গরুর বাজারে প্রচুর গরু উঠলেও আগের তুলনায় বিক্রি একটু কম। প্রতি গরু ৫০ হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকার গরু ও এই বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি বুধবার দুপুর থেকে সাজনপুর-নিকলী প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। রোগীর গাড়ীগুলিতে যারা রোগী থাকেন তাদের মৃত্যু ছাড়া ঐদিন আর কোন উপায় থাকে না। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এদিকে কোন খেয়াল নিচ্ছে না বছরের পর বছর ধরে। সাজনপুর বাজারের ইজারাদার ও জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মানিক, ইজারাদার সভাপতি মরসব আলী, শাহিন মিয়া ও আলম মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, করোনা ভাইরাস আসার কারণে গরু-ছাগল বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। এবার লাভের দিক উঠা খুবই কঠিন বলে উল্লেখ করেন। এদিকে বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের গরুর বাজারটির মধ্যেও গরু বিক্রির সময় নেই কোন সামাজিক দূরুত্ব। ঐতিহ্যবাহী গরুর বাজারটি অপরিষ্কারের কারণে এর ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। গরুর বাজারের ভিতরে র্দুগন্ধময় পরিবেশে গরুর বাজার বসে ঠিকই কিন্তু এদিন বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতারা গরু কিনতে এসে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। অথচ বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসন এই গরুর বাজার বিষয়ে খেয়াল রাখেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।