নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর কাটাপাহাড় এলাকা থেকে বারমারী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার ডিসএন্টেনা সংযোগের টানানো লক্ষাধিক টাকার তার রাতের আঁধারে টুকরো করে কেটে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে কোন এক সময়ে ডিসের তার কেটে ফেলার ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে ঐ ডিসএন্টেনার তত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামকে স্থানীয়রা মুঠোফোনে অবহিত করে। এ বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ সম্প্রতি নতুন একটি ডিসএন্টেনার সংযোগ চালু হয় একই এলাকায়। ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষ হিসেবে রাতের আধাঁরে ঐ ডিস সংযোগের পরিচালক বারমারী গ্রামের প্রদোষ ম্রং এর ছেলে সজল ঘাগড়া(৩৬), সজিত চিসিমের ছেলে জনি ম্রং লিকু(৩৩) এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তাদের সন্দেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বারমারী গ্রামের প্রাক্তন ইউপি মেম্বারের ছেলে রফিকুল ইসলামসহ ৯জন শেয়ার পার্টনার মিলে ২০-২৫ দিন পূর্বে পাশের উপজেলার লেঙ্গুরা বাজার থেকে এ ডিসএন্টেনার তার টানিয়ে সংযোগ প্রদান করে। প্রায় ৮-১০ দিন পূর্বে একই গ্রামের সজল ঘাগড়া ও লিকু ম্রং দুর্গাপুর সদর থেকে পুনঃ ডিস সংযোগ নিয়ে ফান্দা বাজার থেকে বারমারী পর্যন্ত লাইনটি চালু করে। কোন ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই পূর্বে নির্মিত ডিস সংযোগের লাইনের চার কিলোমিটার তার কুচি কুচি করে কেটে রাস্তার উপর ফেলে রাখে। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ডিসএন্টেনার তত্ববধায়ক রফিকুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, আমি এলাকার বেশকজন যুবকদের নিয়ে এ ব্যবসাটি চালু করেছি। প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তের একটি দল রাতের আঁধারে আমাদের লক্ষ টাকার তার কেটে সর্বনাশ করলো। আমি এ বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করেছি। রাতের আঁধারে ডিসের তার কেটে ফেলার নেতৃত্বে থাকা অভিযুক্ত জনি ম্রং লিকু মুঠোফোনে বার বার চেস্টা করেও কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তার সহকারী শফিকুল ইসলাম জানান, কেউ শত্রুতা করে হয়তো লাইনটির তার কেটে ফেলতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানিনা।
দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইন-চার্জ(ওসি) শাহ্ নুর-এ আলম প্রতিবেদককে জানান,এখনো এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। ফোনে আমাকে তার কাঁটার বিষয়টি অবগত করেছে।