যশোরর অভয়নগর উপজেলার মেয়ে চম্পা বিশ্বাসকে উদ্ধার সহ পাচারকারী শুভেন্দু ভুষণ বিশ্বাস ওরফে সুমনের (৩০) শাস্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘মা’ প্রতিভা রানী বিশ্বাস। শনিবার সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ‘মা’ প্রতিভা রানী বিশ্বাস বলেন, আমি উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের হিদিয়া গ্রামের কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের স্ত্রী। আমার বড় মেয়ে চম্পা বিশ্বাসকে (২৩) গত ১১ আগস্ট চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করেছে একই গ্রামের প্রতিবেশি ফনি ভুষণ বিশ্বাসের ছেলে শুভেন্দু ভুষণ বিশ্বাস ওরফে সুমন। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় স্থানীয় সালীশিসহ অভয়নগর থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে তারা আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সে মোতাবেক গত ৯ সেপ্টেম্বর শুভেন্দু ভুষণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যশোর মানব পাচার ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা দায়ের করি। যা তদন্তাধীন আছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে শুভেন্দু ভুষণ আমার কলেজ পড়-য়া মেয়েকে বিভিন্ন সময় চাকুরীরর প্রলোভন দেখাতো। গত ১১ আগস্ট মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে শুভেন্দু ভুষণের ০১৭৪৫-৭৬৭৮৮৪ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, যশোরে আছি, চম্পাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাড়াবাড়ি করলে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শুভেন্দু ভুষণ বিশ্বাস একজন নারী লোভী ও মানব পাচারকারী। তার নামে বাগেরহাট জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক আইনে মামলা আছে। যার মামলা নং- সিআর-৩৭৯/১৬। তাঁর পিতা ফনি ভুষণ একজন ম্যাগনেট পাচারকারী, ভাই ধনুঞ্জয় ভুষণ বিশ্বাস একজন চিহ্নিত জুয়াড়ী।
প্রতারক শুভেন্দু বিশ্বাস অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হতে আমার মেয়ে চম্পাকে ভারতে পাচার করেছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার মেয়েকে উদ্ধার সহ পাচারকারী শুভেন্দুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চম্পার বাবা কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, চাচা সমির বিশ্বাস, চাচাতো ভাই হিরামন বিশ্বাস, মন্টু বিশ্বাস, সুভাষ বিশ্বাস প্রমুখ।