বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রায় ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনামুয়া-হাসাপোটল সড়কের ৫০ মিটার ধসে গেছে। ওই স্থানের আরো প্রায় ১০০মিটার সড়ক ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খালের পাশে সুরক্ষা বাঁধ (গাইডওয়াল) ছাড়াই অপরিকল্পিত ভাবে সড়কটি নির্মাণ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ধুনট উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন প্রকেল্পর আওতায় কালেরপাড়া ইউনিয়নের কান্তনগর সোনামুয়াহাট থেকে হাসাপোটল পর্যন্ত ১৭৭০ মিটার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বগুড়ার মেসার্স শুক্রা এন্টার প্রাইজ ওই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে।
সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করা হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। কান্তনগর খালের পাশ দিয়ে সড়কটি নির্মাণকরা হলেও সড়কটির জন্য খালের তীরে সুরক্ষা বাঁধ (গাইডওয়াল) তৈরী করা হয়নি। যার কারণে গত এক সপ্তাহ যাবত বৃষ্টিতে কান্তনগর গ্রামের সবজি ব্যবসয়ী সাইফুল ইসলামের বাড়ির সামনে সড়কটি দেবে যাওয়া শুরু করে। ইতোমধ্যে সড়কটির ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। এ ছাড়া ওই স্থানে আরো প্রায় ১০০মিটার দেবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কান্তনগর গ্রামের রঞ্জু মিয়া বলেন, খালের তীর ঘেষে সড়ক নির্মাণ করলেও নিরাপত্তার জন্য গাইডওয়াল নির্মাণ করেনি। যার কারণে গত এক সপ্তাহে বৃষ্টিতে সড়কটি দেবে গেছে খালে। আরো দেবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা/ ভ্যান চলাচল করছে। তবে সড়ক দেবে যাওয়ার কারণে ট্রাক বা বড় পরিবহন গুলো চালচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সড়কটির নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন এলজিইডি’র ধুনট উপজেলা সার্ভেয়ার সুলভ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, সড়কটি নির্মাণ কাজে কোনো প্রকার ক্রটি ছিল না। স্থানীয়রা সড়কের পাশে খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে সড়কটি টিকসই হয়নি। অতি বর্ষণের কারণে খালে ধসে পড়েছে সড়কের কিছু অংশ। তবে সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন বলেন, খালে সড়কটি ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধসে যাওয়ার কারণে সড়কটিতে স্থানীয়দের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তাই এলজিইডি’র প্রকৌশলীকে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।