মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ৯ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টায় ফেরি চলাচল করার কথা থাকলেও চ্যানেল পথে চরে ভাঙন দেখা দেয়ার ফলে সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে সকাল সাড়ে নয়টা ফেরি চালাতে সক্ষম হন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিন নম্বর ঘাটের পশ্চিম পাশে নদী ভাঙন শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পশ্চিম দিক থেকে ১৫০ ফুট এবং নদীর দক্ষিণ পাশ থেকে মূল ভূখন্ড থেকে ২শ’ ফুট নদীগর্ভে চলে যায়। অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে তিন নম্বর ঘাট ও বিআইডব্লিউটিএ’র অফিস। পদ্মার ভাঙনে গত ২৮ জুলাই ও ৬ আগস্ট যথাক্রমে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়।
শনিবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ধীর গতিতে ভেঙে চলেছে ঘাট এলাকা। কখনও কখনও বড় আকারের মাটির চাক ভেঙে পড়ছে নদীতে। ক্রমেই নদী ঘাট এলাকা ভেঙে ভেতর দিকে ঢুকে পড়ছে। পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন এলাকার পূর্ব পাশের সাইড ওয়াল ঘেষে গড়ে ওঠা কিছু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ায় তারাও বাড়িঘর ভেঙে ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব নুরুল আলম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ১০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদীর পানি কমে গেলে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত বিশ কিলোমিটার নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহমেদ বলেন, সকাল ৬টায় ফেরি লোড করা হয়। লৌহজং চ্যানেলের পাশের চর ভেঙে ফেরি চলাচলের পথে পড়ে উঁচু হয়ে যায়। এতে করে সাড়ে তিন ঘণ্টা আবারও ফেরি বন্ধ রাখতে হয়। ড্রেজিং বিভাগ নৌপথ সচল করে দিলে সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি চলতে শুরু করেছে। বর্তমানে এ নৌপথে দুইটি মিডিয়াম ও তিনটি ছোট ফেরি চলছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৭৫টির মতো যানবাহন।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলালউদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে শিমুলিয়ার তিন নম্বর ঘাটের দুইশ’ ফুট দূরে আবারও নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে বিআইডব্লিউটিএ ও তিন নম্বর ঘাট ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এ কারণে তিন নম্বর ঘাটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আপাতত ভাঙনও বন্ধ আছে। বিআইডব্লিউটিএ’র লোকজন ভাঙন রোধে বালুর ব্যাগ ফেলছে।