নাব্য সংকটে ঢাকা-বরিশাল নৌরুট। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খোঁজা হচ্ছে বিকল্প চ্যানেল। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সকল রুটই ব্যবহার উপযোগী রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ির নাব্য সংকট নিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারের কারণে নাব্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। তবে এই মুহূর্তে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজকে।
ঢাকা-বরিশাল নৌ পথের প্রধান রুট মিয়ারচর চ্যানেল। যেখানে ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব দেড়শ কিলোমিটারেরও কম। অন্যদিকে ইলিশা-কালিগঞ্জ কিংবা আলুবাজার- ইশানবালা চ্যানেল দিয়ে পাড়ি দিতে হয় প্রায় পৌনে ২শ কিলোমিটার নদী পথ। তাই সবসময়ই নৌযানগুলো মিয়ারচর দিয়ে এ পথে যাতায়াত করে থাকে। কিন্ত নাব্য সংকটে বছরের বড় একটি সময়ই মিয়ারচর চ্যানেল বন্ধ থাকায় অচলাবস্থা দেখা দেয়।
তাই এ পথে বিকল্প রুট খুঁজতে শনিবার ঢাকা বরিশাল নৌ রুট পরিদর্শন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তা। পরিদর্শনকালে নদী ভাঙন ও নাব্য-সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আশপাশের মানুষ।
বিএাইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এ নাব্যসংকট। ড্রেজিং যার একমাত্র সমাধান।
বিএাইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এখানে নাব্য সংকট। তাই আমরা যতো ড্রেজিং করবো, ততই এর গতি বাড়বে। যে চ্যানেলগুলো বন্ধ রয়েছে, দুই-তিন বছর ধরে ড্রেজিং করার পর হয়তো বা চালু হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বন্ধ নয় বরং, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সকল রুটই ব্যবহার উপযোগী রাখা হবে।
শিমুলিয়া কাঠালবাড়ির নাব্য সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারের কারণে নাব্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। তবে এই মুহূর্তে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজকে।