ব্রিজটির পূনঃ মেরামত বা সংস্কার নয় এলাকাবাসীর দাবি অতি পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে, সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হউক।এ ব্যাপারে এলজিইডি কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে জেলার চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নবাসী লিখিত আবেদন করেওকোন সাড়া পায়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছে, অতি পুরাতন এই ব্রিজটি পূনঃ মেরামত বা সং¯কার করলে সরকারের মোটা অংকের টাকা পানিতে চলে যাবে। কারণ ব্রীজটির মূল ভিত্তিই নড়বড়ে হয়ে গেছে।
নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী গত ২/৯/২০২০ ইং তারিখে নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছিল। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার থানাহাট জিসি রেল ষ্টেশন হতেফকিরের হাট ভায়া রাণীগঞ্জ জিসি ( আইডি নং-১৪৯০৯২০০৪) রাস্তায় ইউনিয়নটির কয়ারপাড় গ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় একটি খালের উপর আনুমানিক ১৯৬৫-৬৬ সালে(সিএ্ইচ.৭৮০০এম- এসপান-২০এম) ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই ব্রিজের উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে পাথারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ফকিরের হাট নৌ ঘাটে আনা - নেয়া করা হয়। ব্রিজটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যে কোন মুহূর্তে ব্রীজটি ভেঙ্গে যেতে পারে। হতে পারে বড় ধরনের কোন র্দূঘটনা। এই ব্রীজের উপর দিয়ে অত্র এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই ব্রিজের উপর দিয়ে চিলমারী উপজেলা সদরসহ পাশের উপজেলা উলিপুরে যাতায়াত করে থাকে। যদি কোন কারণে আকস্মিক ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে, সেক্ষেত্রে বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায়, অত্র এলাকার লোকজন জরুরী চিকিৎসা সেবা সহ নানা প্রয়োজনে চিলমারী সদর, উলিপুর সদর ও কুড়িগ্রাম জেলা সদরে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হবে। লিখিত অভিযোগটিতে বলা হয়, ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে এলজিইডি রাস্তা প্রশস্ত করণ প্রকল্পের আওতায় অর্ন্তভ’ক্ত করা হয়েছে। জানাগেছে প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটিকে ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট প্রশস্তসহ রান্তাটিও প্রশস্ত করা হবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ব্রিজটি ৩০/৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেরামত করার জন্য টে-ার আহব্বান করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ না করলে ,মেরামতের জন্য যে টাকা ব্যয় করা হবে তা সম্পূর্ণ পানিতে চলে যাবে। ইউনিয়নবাসীর স্বার্থ রক্ষা ও সরকারের কোষাগারে টাকা অপচয় না করে,ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ই্্্্্্্্্উপি চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্রিজটি ১৯৬৫ থেকে ৬৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজটির মুল ভিত্তি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এটাঁ সংস্কার নয় , প্রয়োজন ব্রিজটি ভেঙ্গে একই স্থানে একটি মজবুত ও নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা। তিনি রাণীগঞ্জবাসীর দাবির সাথে একাতœতা প্রকাশ করে বলেন, ব্রিজটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ব্রীজটি রিপিয়ারিং করলে শুধু টাকাই ব্যয় হবে কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যাবে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি কুড়িগ্রাম এর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজের সাথে মুঠোফোনে ০১৭১২-৫০৬৭৮১ নাম্বারে কথা বললে, তিনি তার পরিচয় নিশ্চিত করে অভিযোগের বিষয়টি শোনার পর. তিনি এ বিষয়ে কোন উত্তর বা মন্তব্য না করে ছুটিতে আছেন বলে- বিষয়টি অজ্ঞাত কারণে এড়িয়ে যান।