সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সহ-অংশীদারকে বঞ্চিত করে পুকুর লিজ প্রদানের পায়তারা চলছে। গত ২৩/০৪/২০১৯ইং তারিখে আমিনুল ইসলাম, পিতা- মোঃ আবদুর রাজ্জক, সাং- মধুপুর, উপজেলা- রায়গঞ্জ এর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে এ খবর জানাগেছে। অভিযোগের প্রকাশ সহ-অংশীদার না হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকৃত মৃত ইস্রাফিল হোসেন এর স্ত্রী রুনু বেওয়া নামে পুকুর লিজ প্রদানে পায়তারা চলছে। আমিনুল ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, মধুপুর মৌজার ৬২নং খতিয়ানের ৪০ নং জে.এল, ৩৮৬ দাগ নং এর জমির পরিমান ৫২ শতক, শ্রেণি- পুকুর। ওই পুকুরটির জলার পরিমান ৮১ শতাংশ। যার ২৯ শতাংশ জলার মূল মালিক আবদুর রশিদ, পিতা- আজম আলী সরকার, যার খতিয়ান- ১৩২, জে.এল নং- ৪০, দাগ নং- ৩৮৫। যাহা আমার নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ ক্রয় সূত্রে মালিকানা ওয়ারিশ মূলে ইজারাকৃত পুকুরটি সহ-অংশীদার হিসাবে বিদ্যমান রহিয়াছে। সরকারি খাস পুকুর বা অর্পিত পুকুর সহ-অংশীদারদের মধ্যে ইজারা প্রদানের বিধান থাকলেও সে নীতি অনুসারন না করে সহ-অংশীদার বহিরভূত ব্যক্তি রুনু বেওয়া নামে ইজারা প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যে কারণে ২৯ শতাংশ জলমহলের অংশীদারগণ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত আজমেল হক বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে লিজ গ্রহীতা রুনু বেওয়াকে পুকুর লিজ প্রদান অবৈধ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুবির কুমার দাশ কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুকুরটি রুনু বেওয়াকে লিজ প্রদান করবেন মর্মে জানাগেছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুবির কুমার দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি রিসিভ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোপ বিরাজ করছে।