সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ-সতুরচর পর্যন্ত প্রায় ৪ কি. মি. ইট বিছানো রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, বেড়েছে জনদুর্ভোগ। অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এ রাস্তাটি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে ডুবে যায়। ফলে স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, বিভিন্ন অফিসে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের।
সরেজমিনে দেখাযায়, ইমামগঞ্জ বাজার থেকে সতুরচর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার ইটের সলিং উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৬ টি গ্রামের ৭ হাজার মানুষ।
সতুরচর গ্রামের সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও জামিয়া রসুলপুর তাহারুননেছা হেফজুল কোরআন মাদ্রাসার সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রয়োজন মিটাতে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কারণে বিক্রমপুরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই রাস্তাটি ঢাকা-মাওয়া রোডের কাছে থাকা সত্যেও রাস্তাটির প্রতি কারো সু-নজর নেই। একজন প্রসুতি মা'কে হাসপাতালে নিতে হলে মসজিদের খাটিয়া দিয়ে নিতে হয়। তাই অত্র এলাকার মানুষের দাবী এ দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে অতি জরুরী ভিত্তিতে কার্পেটিং যেন করা হয়।
রসুলপুর সতুচর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল্লাহ জানান, জমে থাকা পানির মধ্যে ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। কখনও কখনও জমে থাকা পানির নীচে খানাখন্দে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ভিজিয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, রাস্তাটির সম্পর্কে বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়েছে আশা করছি জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।