বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় সরকারি কর্মচারীকে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধুনট উপজেলার নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক আপেল মাহমুদ (৩২) ও নিমগাছি গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে মামুনর রশিদ তপন (৪৭)।
বুধবার ( ১৬ সেপ্টে¤॥^র) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধুনট-বাগবাড়ি সড়কের বেড়েরবাড়ি বাঙালি নদীর সেতুর উপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মামলার অপর আসামি রেজাউল করিম উজ্জ্বল পালিয়ে গেছেন জানায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাংলু গ্রামে বাঙালি নদীর তীরে তিন মাস আগে থেকে সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। সেখানে বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৯০টি ভুমিহীন পরিবার মাথা গোঁজার ঠাই পাবে। প্রকল্পের কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলার ভুমি কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভেয়ার এসএম সোহরাব হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেল প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ তদারকি করছিলেন সোহরাব হোসেন। এ সময় যুবলীগ নেতা আপেল মাহমুদ, মামুনর রশিদ ও রেজাউল করিম উজ্জ্বল দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু সোহরাব হোসেন চাঁদা দিতে রাজী না হলে তাকে মারপিট করে আহত করা হয়। এ সময় তার মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করেছে চাঁদাবাজরা।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় আপেল মাহমুদ, মামুনর রশিদ ও রেজাউল করিম উজ্জলকে আসামি করা হয়।
জানতে চাইলে ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আরেক আসামীকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।