বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানকে (১৯) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে তার সৎ ভাই। বুধবার সকাল ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে তিনি নিজ বাড়িতে মা ও ভাইয়ের সাথে অবস্থান করছেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তার সৎ ভাই ফজর আলী (৫০) দীর্ঘদিন ধরে হাফিজুর রহমান ও তার মা-ভাইকে অত্যাচার করে। সৎ ভাই ফজর আলীর অত্যাচারে অতিষ্টি হয়ে দূর্বিষহ জীবনযাপন করছেন হাফিজুর রহমানও তার পরিবারের লোকজন।
একই আঙ্গিনায় বসবাসের সুবাদে বুধবার সকালের দিকে ফজর আলী ও তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন চুলা জ¦ালিয়ে ধুয়ার কুন্ডলি হাফিজুরের ঘেরের ভেতর দিতে থাকে। এ সময় ধুয়ার কারণে তাদের শ্বাস কষ্ট হয়। তখন এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন হাফিজুর রহমান ও তার বড় ভাই ঢাকা মেডিকেলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলুল হক অর্ক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফজর আলী ও তার লোকজন হাফিজুরের একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ক্ষতি করে। এ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফজল আলী ও তার লোকজন কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হাফিজুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গেলে ফজলুল হক অর্ককে পিটিয়েছেন তারা।
আহত হাফিজুর রহমান ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ফজর আলী, তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও মেয়ে সনিয়া খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর ফজর আলী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।