কুড়িগ্রামে ৪র্থ দফা বন্যার কবলে পড়েছে মানুষ। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রীজ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদণ্ডনদীগুলো এখনো বিপদসীমান নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে ধরলা নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বন্যায় ১০০ হেক্টর আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
একদিকে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র ভাঙন। এই মূহুর্তে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে অন্ততঃ ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন চলছে উলিপুরের থেতরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারে। এখানে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের ৩মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও চারটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ৩০টি বাড়ি।
১৬সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ভাঙনের কবলে পড়েছে আবদুল মোতালেব, নজরুল ইমলাম মাস্টার, মনির হোসেন ও মনিরাম মুছির বাড়ি। ধরলার নদীর ভাঙনে হুমকীর মুখে রয়েছে সদর উপজেলার মোগলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়ছে পারে। এরপর পানি কমবে। এ ছাড়া নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আবারো বন্যার কবলে পড়েছে ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন ফসলাদি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য বলা হয়েছে।