পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামিম বলেছেন, আন্তর্জাতিক সকল বিষয়ে প্রতিবেশি দেশের সাথে বন্ধুত্ব রেখে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে যা করার দরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই করছেন। বাংলাদেশের মানুষের সকল আশা, আকাক্সক্ষা ও আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে। এ সরকারের মেয়াদেই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে গঙ্গাচুক্তি করতে পারেনি। খালেদা জিয়া গঙ্গাচুক্তির বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুলেননি, চুক্তি করে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সকল আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি উন্নয়ন প্রকল্প ও গোপালগঞ্জের নদী-খাল খননসহ ১৩ টি প্রকল্পে সাড়ে ১১’শ কোটি টাকার ডিপিপি অনুমোদনের কাজ চলছে। এই ডিপিপি একনেকে অনুমোদন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এসব প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে গোপালগঞ্জে আর পানির কোন সমস্যা থাকবেনা। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে উপমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে জাতির জনক ও ৭৫ এর ১৫ আগষ্টে নিহত শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এসময় উপমন্ত্রীর সহধর্মিনী তাহমিনা শিলু, প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হালিম সালেহী, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নকিব হাসান তরফদার, পাউবো উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর শাহিনুর রহমান, সাদিকুল আলম চয়ন, শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর মোল্লা, সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপমন্ত্রী মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সমাধি সৌধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত টুঙ্গিপাড়া খালে জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত হিজল তলায় বৃক্ষরোপন করে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
এরপরে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরায় মধুমতি নদীর তীর সংরক্ষনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী প্রতিরক্ষা কাজের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মধুমতির ভাঙ্গন থেকে গোবরা ইউনিয়নকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য ৯৯ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গোবরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টুটুল।
পরে বেলা সাড়ে ১২ টায় উপমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নবসৃষ্ট কুইক সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্টের উদ্বোধন করেন। এই কুইক সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্টের মাধ্যমে জনগন সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে কোনরুপ হয়রানী ছাড়াই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল প্রকার পর্চা, নকলসহ যাবতীয় সেবা পাবে বলেন জানান জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. শাম্মী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইলিয়াসুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।