রাজশাহী নগরীতে অসতর্কতার কারণে ঝরে গেছে স্কুলছাত্র বিবেক ঘোষের তরতাজা প্রাণ। বৃহস্পতিবার পদ্মার ভরা যৌবনে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রােতের এক ধাক্কাতেই গভীর পানিতে তলিয়ে মৃত্যুবরণ করে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া বিবেক ঘোষ (১০)। সে নগরীর কাজিহাটা এলাকার সন্তোষ ঘোষের ছেলে। একটু অসাবধাণতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বিবেকের পরিবার। এ সময় বিবেকের পরিবারের সদস্যদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এ পরিস্থিতিতেও এমন ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের সার্বক্ষনিক নজরে রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিবেকের পরিবার।
বিবেকের পরিবার ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে স্কুলছাত্র বিবেক নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় নদীতে সাঁতার কাটতে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই বিবেককে বাসায় না দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে শুরু করে। পরে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিবারের লোকজন শ্রীরামপুর বাঁধে গিয়ে পৌছে। কিন্তু ততক্ষণে বিবেক পদ্মা নদীর স্রােতের কবলে পড়ে গভীর পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর স্টেশনে খবর দেয়া হয়। তখন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুন্নবীর নেতৃত্বে একটি ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরপর ডুবুরী আবদুর রাজ্জাক ১০ মিনিট পর নদীর তলদেশে বিবেককে খুঁজে পান। এ সময় দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিবেককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান।